কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট আসনে ভোট। তার প্রচারে শনিবার গোয়ালপোখর ও ইটাহারে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেসে গিয়েছেন মানুষের আবেগ, আর উচ্ছ্বাসের স্রোতে। আবাসের টাকা বন্ধ এবং ১০০ দিনের টাকা আটকে গরিবের পেটে লাথি মারা—বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে জনগণকে এই জোড়া অস্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক।
তাঁর কথায়, ‘শুক্রবার প্রথম দফার ভোটে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বিজেপির ঘরে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছেন জনগণ। প্রথম পর্যায়ে ওই আসনগুলিতে এবার আমাদের প্রার্থীরাই জয়ী হচ্ছেন। আপনারা এখানেও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করবেন তো? এখনও ছ’দিন সময় হাতে আছে। আমি কী বলছি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেটা সবাইকে বোঝান।’
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তারপর থেকেই মোদি সরকারের একের পর এক বঞ্চনার শিকার হয়েছে বাংলা। যন্ত্রণা বেড়েছে বিধানসভায় গেরুয়া শিবির মুখ থুবড়ে পড়ায়। বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের প্রতি বদলা নিতেই আবাসের টাকা আটকে, ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে বিজেপির সরকার বদলা নিয়েছে বলে এদিন তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তিনি সভায় বলেন, আপনারা বিজেপিকে ১৮টি আসন দিয়েছিলেন। প্রতিদান হিসেবে তারা বাংলার টাকা আটকে দিয়েছে। এদের কাছে মানুষের জীবনের কোনও মূল্য নেই। তাই এবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক!
সাধারণ মানুষ কী খাবে, কী পরবে সেসব নিয়ে বিজেপি বারবার খবরদারি করে। ব্যক্তি স্বাধীনতায় গেরুয়া পার্টির মাথা গলানো নিয়েও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছেন অভিষেক। ইটাহারে ৩০ মিনিটের সভা থেকে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে এক হাত নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘বিজেপি প্রার্থী বালুরঘাট আসন থেকে জিতলে মানুষের মাছ, মাংস খাওয়া বন্ধ করে দেবেন। অর্থাত্, এবার মুখেও তালা মেরে দেবে বিজেপি। সাতদিন আগে প্রধানমন্ত্রীও জম্মু-কাশ্মীরের সভায় দাঁড়িয়ে বলেছেন, যারা মাছ খায়, তারা হিন্দু বিরোধী। আপনারা মাছ খেতে চান তো? এটা নিয়ে সুকান্তবাবুকে কিছু বলতে শুনেছেন?’ সবশেষে অভিষেকের প্রত্যয়—‘হাম ঝুকেঙ্গে তো উপরওয়ালাকে সামনে, দিল্লির পরিন্দো কা সামনে নেহি। ইয়ে মেরা গ্যারান্টি!’