কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
খিড়কি গ্রামের বাসিন্দা করিম শেখের কথায়, দেখুন এসব প্রবীণ লোকের কাজ নয়। ছেলে ছোকরারাই করে। তবে গত দু’-আড়াই বছর ধরে অনেকেই আর সাহস করে না এই কাজ করতে। পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রামে এসে সচেতনতা শিবির করা হয়েছিল। গ্রামের বয়স্করা বুঝিয়েছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব কাজ করার থেকে ছোটখাট হলেও নিজে কারবার করা ভালো। গুলি খেলে তো আর কিছুই থাকবে না।
কিন্তু কারবার শুরু করতে পুঁজি লাগে। গরিব, নিম্নবিত্ত পরিবারের যুবকরা সেই পুঁজি পাবেন কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর যেন ঠোঁটের ডগায় ছিল তাঁর। বললেন, রাজ্যের ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পই চোরা কারবার বন্ধের অন্যতম চাবিকাঠি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রশাসন এ নিয়ে প্রচার করেছে। ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করেছে প্রশাসন। ওই টাকাকে কাজে লাগিয়ে কেউ মাছের দোকান, কেউ খাবারের দোকান, কেউ আবার ছোট আকারে আমদানি-রপ্তারি ব্যবসা শুরু করেছেন। ফলে পাচারের ব্যবসা নয়, এখন ‘বুক চিতিয়ে’ পাকুর থেকে আসা স্টোনচিপ বা কাশ্মীরের আপেল বাংলাদেশে রপ্তানি করছেন স্বপন শেখ, বাবলু করিমরা (নাম পরিবর্তিত)। উচ্চ শিক্ষিত বাবলু করিমের চর্চা রয়েছে গৌরবঙ্গের ইতিহাস। তাঁর থেকেই জানা গেল, ওই এলাকায় শাহ সুজার একটি মহল ছিল। যা এখন ভগ্নপ্রায়। সেখানে যাওয়ার জন্য চারটি ‘দরওয়াজা’ বানানো হয়েছিল। ‘লুকোচুরি দরওয়াজা’ তার মধ্যে একটি। মোগল স্থাপত্যের নির্মাণ শৈলিতে তৈরি এই ‘দরওয়াজা’কে ঘিরে তৎকালীন সুলতান ও বেগম লুকোচুরি খেলতেন। তাই এর নাম হয়েছিল ‘লুকোচুরি দরওয়াজা’। এটি ঐতিহাসিক এলাকা হওয়া সত্ত্বেও পর্যটকের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। দু’টি ছোট ছোট চায়ের দোকান রয়েছে। সন্ধ্যার পর সেগুলিও বন্ধ হয়ে যায়। এই এলাকাকে রাজ্যের পর্যটন ম্যাপে রেখে প্রচারের আঙিনায় নিয়ে এলে বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের হতো, আক্ষেপ বাবলুর গলায়।