কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত তিন মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক সাইবার অপরাধী ধরা পড়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ফোন নম্বর সহ বিভিন্ন নথি তারা জোগাড় করেছে ব্যাঙ্কের এজেন্টদের কাছ থেকে। বিনিময়ে টাকা পেয়েছেন তাঁরা। এমনকী, চক্রের লোকজন কোথাও কোথাও ব্যাঙ্কের এজেন্ট হিসেবেও কাজ করছে। এই কথা শুনেই চোখ কপালে উঠেছে তদন্তকারীদের। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পারেন, মূলত গ্রামীণ এলাকায় এই এজেন্টরাই ব্যাঙ্কের বড় ভরসা। ব্যাঙ্ক স্বীকৃত এজেন্ট হিসেবেই তাঁরা গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন লোকের অ্যাকাউন্ট খোলেন। স্বভাবতই নথি জমা নিতে হয় তাঁদের। যা পরে জমা করেন ব্যাঙ্কে। একইসঙ্গে টাকা জমা ও তোলা, ঋণ পাইয়ে দেওয়া ইত্যাদি কাজ তাঁদের মাধ্যমেই হয়। যেহেতু গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের তথ্য তাঁদের কাছে থাকে, তাই এই এজেন্টদের টার্গেট করছে সাইবার জালিয়াতরা। মোটা টাকার টোপ দিয়ে এজেন্টদের একাংশের কাছ থেকে সেই তথ্য নিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। যা জানতেই পারে না ব্যাঙ্কগুলি। শুধু তাই নয়, প্রতারক চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেই এজেন্টরাও সাইবার জালিয়াতিতে যুক্ত হচ্ছে।
এই ঘটনা জানার পর ঘুম ছুটেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। তারা জানতে পেরেছে, এজেন্ট নিয়োগের পদ্ধতিতে অনেক ফাঁকফোকর আছে। তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ঠিকমতো যাচাই করা হয় না। এমনকী, তাঁদের পুলিস ভেরিফিকেশন পর্যন্ত হয় না। তাই তাঁদের উপর আরও কড়া নজরদারি চালাতে চাইছে তারা। অর্থমন্ত্রককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা ব্যাঙ্কগুলিকে স্পষ্টই বলেছে, এজেন্ট নিয়োগের সময় প্রার্থীদের সবকিছু যাচাই করতে হবে। প্রয়োজনে পুলিসের সাহায্যও নেওয়া যেতে পারে।