উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় অনেক আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, রাজ্যের রেশন গ্রাহকরা আগামী জুন পর্যন্ত বিনা পয়সায় চাল-গম পাবেন। তবে, এই ঘোষণার আওতায় গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা পড়ছে না। রাজ্যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা ও রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় রেশন গ্রাহকদের জন্য যে সাধারণ বরাদ্দ দেওয়া হয় তার উপর ওই ঘোষণা কার্যকর হবে। জাতীয় ও এক নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকরা এখন সাধারণ বরাদ্দ হিসেবে মাসে মাথাপিছু ২ কেজি চাল ও ৩ কেজি গম পান। দুই নম্বর রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের মাথাপিছু মাসে এক কেজি করে চাল ও গম দেওয়া হয়। এটা সবাই জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে পাবেন। কিন্তু জাতীয় প্রকল্পের রেশন গ্রাহকরা গত মে থেকে খাদ্যের অতিরিক্ত যে বরাদ্দ পেয়ে আসছেন সেটা ডিসেম্বরের পর বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রকল্পটি চালানোর জন্য এফসিআই প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টন চাল ও গম পাঠাচ্ছে। প্রয়োজনীয় চালও ভিন রাজ্য থেকে নিয়ে আসছে এফসিআই।
কেন্দ্রীয় পোর্টালে ঠিক সময়ে অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য গরিব কল্যাণ প্রকল্পের ৯৫২ টন চাল দেওয়া হবে না বলে রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য খাদ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে এফসিআইকে হিসেব দেওয়া হয়েছে, ওই প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্যের থেকে প্রতি মাসে ৩০০ টন চাল কম নেওয়া হয়েছে। বেঁচে যাওয়া চাল থেকে ৯৫২ টন দেওয়ার জন্য এফসিআইকে বলেছে খাদ্যদপ্তর। ওই চাল পাওয়া যাবে বলে আশা করছে দপ্তর। ফলে ডিসেম্বরে জাতীয় প্রকল্পের সব গ্রাহককে অতিরিক্ত খাদ্য দিতে কোনও সমস্যা হবে না।
কিন্তু তারপর কী হবে? অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে মার্চ পর্যন্ত গরিব কল্যাণ যোজনা চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে। সংগঠন নেতা বিশ্বম্ভর বসু লিখেছেন, করোনা পরিস্থিতিতে গরিব মানুষ এখনও কষ্টে আছে। প্রকল্পটি আরও কয়েক মাস চলুক। কেন্দ্রের কাছে প্রচুর খাদ্য মজুত থাকায় অতিরিক্ত বরাদ্দ দিতে সমস্যা হবে না বলে সংগঠন মনে করেন। এমপি সৌগত রায়ও প্রধানমন্ত্রীকে একই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। প্রকল্পটি বন্ধ হলে ভোটের আগে রাজনৈতিক ইস্যু হতে পারে। কারণ দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজে ভর্তুকি দিয়ে রেশন গ্রাহকদের বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়ার প্রকল্প এপ্রিল থেকে চালু করে, তা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছে।