উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
আয়কর দপ্তরের তদন্তে উঠে এসেছে, বেআইনি কয়লা খনির কারবার থেকে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে লালার। আয়কর জমাতেও বড়সড় ফাঁক রয়েছে তার। প্রতি বছর তার সম্পত্তি কয়েকশো গুণ বেড়েছে। কীভাবে এই কালো টাকা সাদা করার প্রক্রিয়া চালাত লালা? আয়কর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, লালার নিজস্ব একাধিক কোম্পানি রয়েছে। সেই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থার ১৫০ কোটি টাকার ইক্যুইটি শেয়ার কেনা হয়েছিল। তারপর ১৪৫ কোটির শেয়ার ফের বিক্রিও করে দেওয়া হয়। যদিও আধিকারিকদের দাবি, গোটাটাই লোক দেখানো। সবটাই হয়েছে কাগজে-কলমে। অর্থাৎ বাস্তবে টাকার কোনও লেনদেনই হয়নি। অথচ, ঘুরপথে ওই টাকা পৌঁছে গিয়েছে ওই প্রভাবশালীর কাছে। সেটাও আবার নগদে।
এত গেল একটা পদ্ধতি। এছাড়া লালার বিরুদ্ধে একাধিক ভুয়ো কোম্পানি খোলার অভিযোগ করেছে আয়কর দপ্তর। সেখান থেকে টাকা ঘুরিয়ে পাঠানো হয়েছে প্রভাবশালীর আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে। নিজের কর্মচারীদের সেই সমস্ত ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর করা হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে আবার খোদ ওই প্রভাবশালীর আত্মীয়ের নামেও সংস্থা ও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। আয়কর দপ্তরের অনুমান, প্রভাবশালী ব্যক্তির সম্মতিতেই এটা করা হয়েছে। এই টাকার পরিবর্তে বেআইনি খনি থেকে তোলা কয়লা ভিনরাজ্যে পাচারের জন্য লরির ব্যবস্থা করা, স্থানীয় পুলিস-প্রশাসনকে সমঝে রাখা সহ আনুষঙ্গিক আরও সুযোগ-সুবিধা ওই প্রভাবশালীর কাছ থেকে পেত লালা। এছাড়াও বিদেশেও ভুয়ো সংস্থা খুলে বিপুল টাকা পাচারের কাজ চলত। আয়কর দপ্তর জেনেছে, দুবাই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে খোলা হয়েছে ওই ভুয়ো সংস্থাগুলি। ব্যবসায়িক লেনদেনের আড়ালে টাকা পৌঁছত ওই সমস্ত সংস্থায়। তারপর হাওলা মারফত ফের সেই টাকা ফেরত আসত দেশে০। তারপর তা পৌঁছত প্রভাবশালীর আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে। কী করে এই দুর্নীতির খোঁজ পেল আয়কর দপ্তর? জানা গিয়েছে, ভুয়ো সন্দেহে কমপক্ষে ১০০টি সংস্থার সম্পর্কে রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ (আরওসি)-এর কাছে তথ্য চেয়েছিল আয়কর দপ্তর। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই লালার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করতে উদ্যোগী হন আয়কর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দুর্নীতির ব্যাপকতা আঁচ করে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে সিবিআইও। অনুপ মাঝি।