বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
এদিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে পরিযায়ী, অসংগঠিত শ্রমিক ও হকারদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন। পরে মমতা বলেন, আমার মনে হয় পিএম কেয়ারস ফান্ডে ইতিমধ্যেই বিরাট অর্থ জমা পড়েছে। আমার অনুরোধ, জনগণের কাছ থেকে যে টাকা পেয়েছেন, তার মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার একটা পৃথক তহবিল করুন। ওই ফান্ড থেকে পরিযায়ী শ্রমিক, হকার সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের কিছু টাকা দিলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। রেলকে এক হাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রেল সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। লকডাউন শুরুর আগে পরিকল্পনা করে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে রাজ্যে পাঠিয়ে দিলে করোনা এত দ্রুত ছড়াত না।
উম-পুনের পর কেন্দ্রীয় দল পাঠানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর দু’সপ্তাহ চলে গিয়েছে। এতদিনে তো প্রতিনিধিদল পাঠানো উচিত ছিল। আমরা সামর্থ্য মতো ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত মানুষের জন্য ৬৩০০ কোটি টাকার বেশি খরচ করেছি। যাঁদের বাড়ি, চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। এছাড়াও পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছি। মমতা বলেন, আমরা যখন কোভিড, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ব্যস্ত, তখন কেউ কেউ বাংলা দখলের কথা বলছে। এখন রাজনীতি করার সময় নয়। তবু কেউ কেউ উস্কানি দিচ্ছেন। কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ঝগড়া করতে চাই না। চাই কেন্দ্র, রাজ্য একসঙ্গে কাজ করুক। আগামী ১০ জুনের মধ্যে সাড়ে দশ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরে আসবেন। অথচ, রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে চাইছেন না বলে বিভিন্ন মহলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অথচ যাঁরা এ কাজ করছেন, তাঁরা গরিব শ্রমিকদের কাছ থেকে রেল ভাড়ার টাকাও আদায় করছেন। অথচ বিপুল অর্থাভাব সত্ত্বেও শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনতে ট্রেন ভাড়া বাবদ ৪০ কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য।
সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।- নিজস্ব চিত্র