উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
প্রসঙ্গত, চারটি আসনে এই মুহূর্তে তৃণমূলের এমপি’রা রয়েছেন। অবশিষ্ট একটি আসনে রয়েছেন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত নির্দল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, ঋতব্রত নিজের রাজনৈতিক লাইন পরিবর্তন করে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। কিন্তু জোড়া ফুল শিবিরে এখন তিনি ঠিক জাঁকিয়ে বসতে পারেননি। শাসকদলের অন্দরের খবর, এপ্রিলের ভোটে পাঁচটির সবক’টিতেই তৃণমূলের প্রতিনিধি থাকবে। যদিও রাজ্যসভার আসন্ন এই ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতারা। ২০১৯ সালে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গ সফরে একাধিক জনসভায় দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেছে। রাজ্যের বহুনেতাও এই বক্তব্য পেশ করেছিলেন। যা থেকেই আগামীদিনে বিধায়কদের অমূল্য ‘ভোট’কে প্রভাবিত করতে সক্রিয় হয়েছে গেরুয়া শিবির।
রাজ্যসভা সূত্রের খবর, আগামী ২ এপ্রিল রাজ্যের পাঁচ প্রতিনিধির মেয়াদ শেষ হবে। তাঁরা হলেন, আহমেদ হাসান ইমরান, কে ডি সিং, যোগেন চৌধুরী, মণীশ গুপ্ত ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এক শীর্ষনেতার দাবি, পাঁচটি আসনে কারা টিকিট পাবেন, তা স্থির করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রাথমিক আলোচনায় উঠে এসেছে, দু’জনকে অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিনটি নতুন মুখ আনা হবে। এক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির এক গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে রাজ্যসভার আসনে দাঁড়ানোর জন্য টোপ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই পরিকল্পনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বলেন, অমিত শাহরা আমাদের দল ভাঙার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা নিজেদের দলের দৈন্যদশা সম্পর্কে আদৌ ওয়াকিবহাল নন। কারণ, বহু বিজেপি নেতা আমাদের দলে ঢোকার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছেন। সঠিক সময়ে আমরা তাঁদের যোগদান করাব। যদিও এর পাল্টা দিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, গোটা তৃণমূলদলটা এই মুহূর্তে কার্যত ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। যেকোনও দিন তা ভেঙে পড়তে পারে। রাজ্যসভার ভোটে আমাদের সঙ্গে ‘টাচে’ থাকা তৃণমূল বিধায়কদের দিয়ে গোপন ব্যালটে ভিন্ন বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছি। যাতে শাসক শিবিরের শীর্ষনেত্রী বুঝতে পারেন দলীয় হুইপকে উপেক্ষা করে জনপ্রতিনিধিরা উল্টো ভোট দিয়েছেন।