উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
রিজিওনাল পিএফ কমিশনার গ্রেড-১ আমুল রাজ সিং বলেন, নিয়ম মেনে কর্মচারীদের পিএফ জমা করাতে আমরা বদ্ধ পরিকর। কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা কোনও অবহেলা বরদাস্ত করব না। বেশ কিছু পুরসভার বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু পুরসভার কাছ থেকে জরিমানা সহ টাকা আদায়ও করা হয়েছে। দুর্গাপুর পুরসভার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ায় আমাদের অফিসের জলের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করেছিল তারা।
পুরভোটের আগে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের নতুন বিষয় হয়ে উঠতে পারে কর্মচারীদের পিএফ। যার সূত্রপাত হয়েছে দুর্গাপুর পুরসভা থেকে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের ১৭০০ সাফাই কর্মীর পিএফ জমা না দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয় রিজিওনাল পিএফ অফিসে। ২০১৭ সাল থেকে এনিয়ে শুনানি শুরু হয়। ২০১৯ সালে পিএফ অফিস থেকে পুরসভাকে জানানো হয়, ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বকেয়া পিএফ জমা করতে হবে। কিন্তু তারা তা না করায় গত বছরের শেষে পুরসভার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে আইনি পথে ৬ কোটি ৫৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮৫৩ টাকা কেটে নেওয়া হয়। অন্যদিকে, এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ ওঠে পুরসভার বিরুদ্ধে। এছাড়া সরাসরি ব্যাঙ্কের খাতা থেকে এভাবে মোটা অঙ্কের টাকা কেটে নেওয়ায় ট্রাইবুনালে মামলা করে পুরসভা।
পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থি বলেন, আমরা ইপিএফ কর্তৃপক্ষের করা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ট্রাইবুনালে গিয়েছিলাম। ট্রাইবুনাল আমাদের জানিয়েছে, তারা যে টাকা কেটেছে, তা কোনওভাবেই ট্রাইবুনালের নির্দেশ ছাড়া ব্যবহার করতে পারবে না। এটা আমাদের প্রাথমিক জয়।
তবে এই সংঘাত শুধু দুর্গাপুরেই সীমাবদ্ধ নেই। দুর্গাপুরের ইপিএফ অফিস সূত্রে খবর, এই আঞ্চলিক অফিসের অধীনে থাকা পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া জেলার একাধিক পুরসভার বিরুদ্ধে কর্মচারীদের পিএফের টাকা সঠিক সময়ে জমা না করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট ধারায় কালনা, মেমারি, সিউড়ি, নলহাটি, বাঁকুড়া ও গুসকরা পুরসভার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ইপিএফ অফিস। আসানসোল পুরসভার কাছ থেকে ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯২৭ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, যে পুরসভারগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাদের অধিকাংশের নির্বাচন সামনেই। তাই এই ঘটনার পিছনে অনেকেইরাজনৈতিক রং দেখছে। আসানসোলের মেয়র তথা পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে আমাদের কোনওভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না। এসব দেখতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যতটা তৎপর, রাজ্যের পাওনা মেটানোর ক্ষেত্রে ততটা তৎপর হয় না কেন?