উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের এক সূত্র জানাচ্ছে, আদতে বাংলাদেশের কুষ্ঠিয়ার বাসিন্দা ছাত্রী ইভার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বিদেশ মন্ত্রক। প্রয়োজনে তাঁকে বাংলাদেশে ফেরতও পাঠানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কেন এমন কড়া পদক্ষেপ? ছাত্র ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পড়তে আসা ওই ছাত্রী এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বাংলাদেশের ফিরদৌস, নুর গাজির মতো অভিনেতারা একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোট প্রচারে নামায় তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে দেশে ফেরত পাঠায় বিদেশ মন্ত্রক।
আবার ২৩ ডিসেম্বর কোচিতে এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে সরাসরি অংশ নেওয়ায় নরওয়ের এক মহিলা পর্যটক জন মেট জোহানসনকে দেশে ফেরত পাঠায় ভারত সরকার। উল্লেখ্য, নরওয়ের ওই মহিলা পর্যটক ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে কোচিতে এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে তাঁর সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তাতে লিখেছিলেন, ‘পিপলস লং মার্চ’। ফেসবুকে সেই পোস্ট বিদেশ মন্ত্রকের নজরে আসতেই ওই বিদেশিনীকে ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা লক্ষ্য করেছেন, নরওয়ের ওই মহিলা পর্যটকের মতো বাংলাদেশি ছাত্রীও তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ তৈরি করা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আজ বিশ্বভারতীর মিছিল। ফলে নরওয়ের ওই পর্যটকের মতো তার বিরুদ্ধেও কড়া অবস্থান নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে, বীরভূম জেলা পুলিসের এক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ জানুয়ারি বিশ্বভারতীতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ছাত্র বিক্ষোভে বিজেপি’র রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত আটকে পড়ার ঘটনায় কোনও এফআইআর দায়ের করেনি পুলিস। পুলিসের দাবি, সরকারিভাবে কোনও অভিযোগ না আসায় মামলা দায়ের করা হয়নি।