বিদ্যার্থীদের অধিক পরিশ্রম করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার ফল ভালো হবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ... বিশদ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে অমিত শাহ বাংলায় এনআরসি করে দেখান দেখি। তৃণমূলের মুখ্য মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ক্ষমতা থাকলে মোদি সরকার বাংলায় এনআরসি করে দেখাক। দলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যেভাবে সর্বশক্তি দিয়ে বিরোধিতা করেছি, এনআরসি নিয়েও তাই করব। দেশকে অহেতুক অশান্ত হতে দেব না।
বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় রাজ্য সরকারের অনুমোদন বিনা কাজ হয় নাকি? তাই বাংলার সরকার রাজি না হলে এনআরসি হবে কী করে? বাংলায় এনআরসি’র কোনও প্রয়োজন নেই বলেও দাবি করেছেন অধীরবাবু। গতকাল রাতে লোকসভার মধ্যে তো বটেই, আজ সভার বাইরে সরাসরি অমিত শাহকে আক্রমণ করে অধীরবাবুর প্রশ্ন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান যদি তাদের দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সহ ছয় ধর্মের নাগরিকদের ওপর অত্যাচার করে, তাহলে ওই তিনটি দেশকে কেন নিপীড়নকারী রাষ্ট্রের তকমা দিচ্ছে না ভারত? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি একবারও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অত্যাচারিতদের ব্যাপারে কথা বলেছেন?
লোকসভায় বিল আটকাতে না পেরে রাজ্যসভায় সরকারকে বেগ দিতে তৈরি হচ্ছে বিরোধীরা। আগামীকাল রাজ্যসভায় বিলটি পেশ হবে বলে বিরোধীদের জানিয়ে দিয়েছে সরকার। তাই বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে এদিন আলোচনা করে বিলটি রুখতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে ঠিক করেছে। এ ব্যাপারে শিবসেনাকেও পাশে পাওয়ার উদ্যোগ বজায় রেখেছে তৃণমূল। লোকসভায় নাগরিকত্ব বিলে টিএমসি কোনও সংশোধনী না দিলেও রাজ্যসভায় তা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল মোট ২০টি সংশোধনী জমা দিয়েছে। সুযোগ বুঝে ভোটাভুটিও (ডিভিশন) চাওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের জবাবি ভাষণে গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের একটি অংশকে অস্ত্র করে সরব হয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, অমিত শাহ গতকাল বলেছেন, ভারতে শরণ নিতে চাওয়া হিন্দু, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং পার্সি ধর্মাবলম্বীদের কাছে কোনও কাগজ না থাকলেও সরকার তাদের নাগরিকত্ব দেবে। তাহলে কীসের ভিত্তিতে প্রমাণ হবে যে শরণার্থীরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন? তবে কি ওই তারিখের পরেও উল্লেখিত ছয় ধর্মাবলম্বীরা এদেশের শরণাপন্ন হলে নাগরিকত্ব দেবেন অমিত শাহ? অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যে যৌথ সংসদীয় কমিটি হয়েছিল, সেখানকার রিপোর্টই বলছে, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ৩১ হাজার ৩১৪ জন শরণার্থী নাগরিক হওয়ার আবেদন করেছেন। যার মধ্যে হিন্দুর সংখ্যা ২৫ হাজার ৪৪৭ জন। শিখ ৫ হাজার ৮০৭। খ্রিস্টান ৫৬ জন। বৌদ্ধ এবং পার্সি দুজন করে।