কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি রাজ্য সরকারের অফিসে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের জন্য একটি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড গঠন করা হয়। মূলত, তারপর থেকেই এই প্রতারণা চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই চক্রের সদস্যরা একাধিক বেকার যুবকদের গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মাথাপিছু গড়ে সাত থেকে আট লক্ষ টাকা নেয় বলে অভিযোগ। এভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রায় ১৬ জন যুবকের কাছ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়। ওই বছর ২০ মে লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল। ৬ হাজার শূন্যপদের জন্য সাড়ে পাঁচহাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়। কিন্তু দাবি মতো টাকা দেওয়া সত্ত্বেও ওই ১৬ জনের কারও চাকরি হয়নি। এমনকী এই চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এরপরই প্রতারিত মালদহের বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ চলতি বছরের ১১ অক্টোবর সৌমেনকুমার বোসের বিরুদ্ধে কলকাতার বউবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিস ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), প্রতারণা (৪২০), জালিয়াতি (৪৬৭), প্রতারণার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি (৪৬৮), জাল নথিকে আসল বলে চালানো (৪৭১) এর মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। বউবাজার থানার এক সূত্র জানাচ্ছে, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই প্রতারণা মামলায় টাকার অঙ্কটা বাড়বে। এদিকে, বউবাজারের ওসি সিদ্ধার্থ চক্রবর্তীকে এনিয়ে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছুই বলতে পারব না। পরে কলকাতা পুলিসের ডিসি (সেন্ট্রাল) সুধীরকুমার নীলকান্তমকে ফোন ও মেসেজ পাঠানো হলেও জবাব মেলেনি।