কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
মহাপুজোর আবাহন পর্বে মহালয়ার আগের দিন, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শারদোৎসবের সূচনা করতে পথে নেমেছিলেন মমতা। ২ অক্টোবর, অর্থাৎ চতুর্থীর দিন পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তের মোট ৫৬টি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন তিনি। হাতিবাগান সর্বজনীন দিয়ে শুরু করেছিলেন যে অভিযান, তা শেষ হয় চেতলার শান্তি পল্লির প্রতিমা ও মণ্ডপ উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে। এই পর্বে ফি বছরের রুটিন, বৃদ্ধাশ্রম নবনীড়ে যাওয়াকেও শামিল করেছিলেন তিনি। পঞ্চমীতে যাওয়ার কথা থাকলেও, আনন্দ উৎসবের সমস্ত আস্বাদন চেটেপুটে নিতে পথে নামা মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা ভেবে চতুর্থীতেই নবনীড়ে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় আচমকাই সেখানে হাজির হয়েছিলেন ঘরের মেয়ে মমতা। ‘আজ তাড়াতাড়ি চলে আসতে হয়েছে বলে মিষ্টি আনতে পারিনি, কাল ববিকে (সহকর্মী ফিরহাদ হাকিম) দিয়ে পাঠিয়ে দেব’— জানিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর দূত চেতলার ছেলে ববি।
পুজোর উদ্বোধন পর্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবারও ঝড় তুলেছেন মমতা। সাতদিনের উদ্বোধন অভিযানে ফেসবুকে লাইভ হয়েছে ৮৫টি পর্ব। তা দেখেছেন প্রায় ২৫ লক্ষ নেটিজেন। শেয়ারের সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি। লাইক করেছেন ৩০ লক্ষ মানুষ। এই পর্বে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ (৩ লক্ষ ৫৩ হাজার) প্রত্যক্ষ করেছেন মহালয়ার দিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পুজো বলে পরিচিত দক্ষিণ কলকাতার নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এরপরেই বাবুবাগানের স্থান। ২ লক্ষ ৫৬ হাজার মানুষ দেখেছেন এই পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি। উদ্বোধনের বিভিন্ন মুহূর্তকে কোলাজ করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন মমতা নিজেই। তা দেখেছেন ১ লক্ষ ৭৭ হাজার নেটিজেন।