কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী ধনকারকে রেড রোডের কার্নিভাল দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানান। বাংলার দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সামনে রেখে রাজ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে রেড রোডের এই কার্নিভাল নিয়ে রাজ্যপালকে বিস্তারিত বোঝান মমতা। বিভিন্ন দূতাবাসের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক সহ দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখন নিয়ম করে এই কার্নিভাল দেখতে আসেন বলেও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে অবহিত করেন মমতা। স্ত্রী সুদেশ ধনকারকে নিয়েই কার্নিভালের আনন্দ উপভোগ করার পরামর্শও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সব শুনে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান তিনি মোটেও মিস করতে চান না বলে মন্তব্য করেন। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাধা না হয়ে দাঁড়ালে স্ত্রী ছাড়াও কলকাতার পুজো দেখতে আসা মেয়ে-জামাই-বেয়াই-নাতনিকে নিয়ে ওই দিন রেড রোডের অনুষ্ঠান দেখতে যাবেন বলে ঠিক করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কার্নিভাল দেখার আমন্ত্রণ পেলেও এখনও মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মিলনীতে যাওয়ার ডাক পাননি রাজ্যপাল। ওই মিলনোৎসব এবার ঠিক কবে হবে, সেটা অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই ধরনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষাবাহী সামাজিক অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেলে রাজ্যপাল সেখানে উপস্থিত থেকে সৌজন্য দেখানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর ধনকারের কাছে এটাই প্রথম দুর্গোৎসব। তবে বাংলার দুর্গাপুজোর পরম্পরা সম্পর্কে তিনি গত কয়েকদিন ধরে বিস্তর পড়াশোনা করেছেন। বিভিন্ন লোকের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছেন তিনি। সেই মতো কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন বারোয়ারি পুজোমণ্ডপ উদ্বোধন ও পরিক্রমার পাশাপাশি ঐতিহ্যমণ্ডিত রাজবাড়ির প্রতিমা দর্শনের কর্মসূচিও তিনি রেখেছেন। গিয়েছেন গ্রামের সর্বজনীন পুজোর আমেজের ছোঁয়া পেতেও। তৃতীয়া থেকে শুরু করে শুক্রবার মহাষষ্ঠীর রাত পর্যন্ত এই কাজে তাঁর প্রবল উৎসাহ দেখে রাজভবনের আধিকারিকদের মধ্যে রীতিমতো চর্চাও হয়েছে। এবার দুর্গা কার্নিভালে সপরিবারে শামিল হয়ে রাজ্যপাল তাঁর পুজোপর্বের ষোলকলা পূরণ করতে চান বলে তাঁদের ধারণা।