বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠনপাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই কলকাতার নগরপাল রাজীব কুমার শনিবার শিলংয়ে সিবিআইয়ের সঙ্গে আলোচনায় মুখোমুখি হন। শুক্রবার তিনি এখানে পৌঁছেছেন। শনিবার বেলা ১০.৪০ মিনিট নাগাদ তিনি শিলংয়ে সিবিআইয়ে দপ্তরে হাজির হন। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে আসেন অতিরিক্ত নগরপাল-১ জাভেদ শামিম ও ডিসি এসটিএফ মুরলিধর। সঙ্গী ছিলেন মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল তথা তৃণমূলের উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যবেক্ষক বিশ্বজিৎ দেব। তাঁরা আসার আগেই দপ্তরে হাজির হয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। তবে কথাবার্তার সময় দুই পুলিস কর্তা ও আইনজীবীকে থাকতে দেওয়া হয়নি। রাজীবের মুখোমুখি হন দিল্লি থেকে আসা সিবিআইয়ের এসপি জাগরূপ গুসিনা ও পার্থ মুখোপাধ্যায়। চিটফান্ড মামলার তদন্তকারী অফিসার তথাগত বর্ধনও ছিলেন। প্রথম দফায় দুপুর ২টো পর্যন্ত আলোচনা চলে। কিছুক্ষণ বিরতির পর ফের রাজীবের মুখোমুখি হন সিবিআই অফিসাররা। বেলা সওয়া ১১টা থেকে দু’দফায় সন্ধ্যা সওয়া সাতটা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কথা বলে বয়ান রেকর্ড করা হয়। আজ, রবিবার ফের তাঁকে সিবিআই দপ্তরে আসতে হবে বলে খবর। তাঁর সঙ্গে রাজ্যসভার প্রাক্তন এমপি কুণাল ঘোষকে বসানো হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
আলোচনায় প্রথমে উঠে আসে সারদা কেলেঙ্কারির বাজেয়াপ্ত নথির প্রসঙ্গ। সিবিআই জানায়, অনেক নথিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা উপযুক্তভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। এর প্রেক্ষিতে নথি কীভাবে সংরক্ষণ করতে হয় এবং সারদা মামলায় কীভাবে তা সংরক্ষিত হয়েছে, তা নিয়ে কার্যত ‘ক্লাস’ নেন রাজীব কুমার।
এরপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা সিটের প্রসঙ্গ তোলেন। রাজীব কুমারের স্পষ্ট কথা ছিল, তিনি সিটের প্রধান ছিলেন না। সিটের সদস্য হিসেবে যে দায়িত্ব ছিল, তা পালন করেছেন মাত্র। নিয়মনীতি মেনেই তা করা হয়েছে। কেস ডায়েরি নষ্ট করার প্রসঙ্গে রাজীবের যুক্তি, বিভিন্ন মোবাইল সংস্থা তাঁদের যা নথি দিয়েছে, তাই সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে। সব কিছুর ফরেনসিক পরীক্ষাও হয়েছে। এসব সিবিআইয়ের জানা উচিত। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের রাজীব জানান, দুর্গাপুরে রোজভ্যালির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়নি বলে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। কারণ ওই এলাকা তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না।