আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
বারাসত জেলা সদর হওয়ায় নিত্যদিন এখানে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে। শহরের অলিগলিতে বেড়েছে টোটোর দাপাদাপি। বারাসত পুর এলাকায় রোজ কমপক্ষে ১০ হাজার টোটো চলে। তাদের রুট সরকারিভাবে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও তাকে পাত্তা না দিয়ে বিভিন্ন রুটে যাত্রী নিয়ে ছোটে টোটো। পাশাপাশি শহরের যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে যানজট আরও ভয়ানক আকার নিয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। তবে গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে ভোটের আবহে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এখন প্রায় রোজই ছোটখাট কর্মসূচি থাকে রাজনৈতিক দলগুলির। ফলে জমায়েত, মিছিল লেগেই রয়েছে। সেকারণে যানজট আরও বেড়েছে বলে সাধারণ মানুষের ধারণা। বারাসতের বুক চিরে চলে গিয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক, যশোর রোড ও টাকি রোড। জাতীয় সড়ক ও যশোর রোডে রয়েছে দু’টি রেল গেট। ট্রেন চলাচলের সময় গেট পড়ে যাওয়ায় নাকাল হতে হয় মানুষকে। তখন রাস্তা পারাপার করতেই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। প্রতিদিনই হাজার হাজার গাড়ি যাতায়াত করে এই সড়কগুলি দিয়ে। তার উপর রাত বাড়লেই বড় বড় ডাম্পারের যাতায়াত বেড়ে যায়। মূল সড়কের পাশাপাশি বারাসত শহরে বিভিন্ন ছোট রাস্তারও একই অবস্থা হয়। সন্ধ্যার পর থেকে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে যানজট পরিস্থিতি। উপযুক্ত পরিকল্পনা ও পরিকাঠামোর অভাবেই এই সমস্যা বাড়ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বারাসতের বাসিন্দা শর্মিলা দে বলেন, এই শহরের মূল সমস্যা হল যানজট। এই যানজট কমার কোনও লক্ষণ নেই। কোনও নেতার মুখে মানুষের যন্ত্রণা লাঘবের সদিচ্ছার কথা শোনা যায় না। দু’টি রেল গেট নিয়ে কোনও দলই ওভারব্রিজের দাবি জানায়নি। অথচ এটাই বারাসতের মানুষের জ্বলন্ত সমস্যা। একই কথা বলছেন সন্দীপ দে। তিনি বলেন, শহরে টোটো যন্ত্রণা তো আছেই তবে, রেল লাইনের উপর ওভারব্রিজ হলে যন্ত্রণা একটু কমত। এ বিষয়ে বারাসত পুলিস জেলার ডিএসপি ট্রাফিক অলোকরঞ্জন মুন্সি বলেন, শহরে যানজট কাটাতে আমরা নতুন করে একাধিক ট্রাফিক বুথ করছি। গাড়ির গতি বাড়াতে চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন হতে হবে, যাতে যানজট এড়ানো সম্ভব হয়।