আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
বোলপুরের স্কুলবাগানের বাসিন্দা শিবানন্দ রায় ও সোমা দে রায়ের একমাত্র কন্যা সানন্দা। বুধবার পঁচিশে বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে তাঁর কর্মভূমি শান্তিনিকেতনের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্য আসায় উচ্ছ্বসিত গোটা বোলপুর মহকুমা। কলাবিভাগের ছাত্রী সানন্দা ভবিষ্যতে অধ্যাপিকা হতে চান। পাশাপাশি ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে চান তিনি। সানন্দা বলেন, ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান এই দুই বিষয়ের মধ্যে কোনও একটি নিয়ে স্নাতক হয়ে তারপর আগামী জীবনে লক্ষ্য স্থির করব।
উল্লেখ্য, তিনি মাধ্যমিকেও রাজ্যের মধ্যে ৬৮৪ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অধিকার করেছিলেন। কিন্তু দশম স্থান থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞান শাখা নিয়ে পড়াশোনা করেননি। কলা বিভাগের বিভিন্ন বিষয় তাঁকে বেশি আকৃষ্ট করত। তাই মাধ্যমিকে অত্যন্ত ভালো ফল করার পরও বিজ্ঞান বিভাগকে না বেছে কলা বিভাগে পড়াশোনা করেন। নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখেই উচ্চমাধ্যমিকে সাফল্য এসেছে বলে তাঁর মত।
সানন্দা আরও বলেন, পড়াশোনা করার নির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না। যখন ইচ্ছা হতো তখনই বই নিয়ে বসে যেতেন। আমার এই সাফল্যে মা-বাবা থেকে শুরু করে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকলেই সাহায্য করেছেন। এদিন স্কুলের মেধাবী ছাত্রী রাজ্যের মেধাতালিকায় স্থান পাওয়ায় তাঁকে সংবর্ধনা জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে মিষ্টিমুখ করিয়ে দেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আগামী দিনে সানন্দার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করেছেন তাঁরা।
উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম স্থানাধিকারী সানন্দা আরও বলেন, পরীক্ষার পর ভেবেছিলাম প্রথম ১৫ জনের তালিকার মধ্যে থাকতে পারি। কিন্তু পঞ্চম স্থান অধিকার করব, এতটা ভাবিনি। রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গান, লেখা, বরাবরই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। এটাই কলাবিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতে উৎসাহিত করেছে। আগামী দিনে যারা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেবে তাদের বলব নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে।। তাহলেই ভালো ফল হবে।
সানন্দার বাবা ও মা দু’জনেই হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। বাবা শিবানন্দ রায় বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধারাবাহিকতা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমার মেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করেছে। তাই আমরা সকলেই আশাবাদী যে ও জীবনে ভালো কিছু করে দেখাবে।
নবনালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌরগোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা আমাদের কাছে প্রত্যাশিত ছিল যে সানন্দা অবশ্যই ভালো ফল করবে। শুধু পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য কর্মকাণ্ডেও সে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এসেছে। তার এই সাফল্যে আমরা সকলে অত্যন্ত আন্দদিত ও গর্বিত।