আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
কলকাতার পাঠভবনের উজান চক্রবর্তীর জীবন ঘিরে শুধুই গান। কলা বিভাগের এই ছাত্র ৪৮৮ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে নবম। কলকাতার মধ্যে তৃতীয় হয়েছেন।
শৌনকের বাড়ি নদীয়ায়। তবে আট বছর ধরে টবিন রোডে থাকেন। স্কটিশ চার্চ থেকেই মাধ্যমিক দিয়েছিলেন। রাজ্যের মধ্যে ১৩তম স্থান পেয়েছিলেন সে পরীক্ষায়। বললেন, ‘কত ঘণ্টা পড়লাম, তার চেয়েও বড় কথা কতটা মনযোগ দিয়ে পড়লাম।’ রাত জেগে পড়াশোনা করেন তিনি। অবসরে ক্রিকেট দেখেন। গল্পের বই পড়েন। স্ট্যাটিসটিক্স ও অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করতে চান। বলেন, ‘কোনও কিছু উদ্ভাবন আমার নেশা।’
চিকিত্সক হওয়ার নেশায় ছোটবেলা থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে অর্ঘ্যদীপ। সল্টলেকের সুকান্ত নগরে থাকেন। স্কুলের শিক্ষকদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে জানতে পারেন, অষ্টম হয়েছেন। তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার ধোনি। কবিতা লিখতে ভালোবাসেন। ওয়েব সিরিজ দেখেন। কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি পর্দায় দেখা পছন্দের। তবে অধিকাংশ সময় পড়াশোনা করেই কাটে তাঁর।
উজানের জীবন ঘিরে শুধুই গান। বাংলা, ইংরাজি ছাড়া তাঁর উচ্চমাধ্যমিকের বিষয় সাইকোলজি, সোশিওলজি, ভূগোল ও মিউজিক। বলেন, ‘কতখানি বুঝে পড়াশোনা করছি সেটাই আসল।’ তিনি এখন রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখেন। বড় হয়ে সঙ্গীতশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন লালন করেন মনে। পাশাপাশি চান অধ্যাপনা করতে। বলেন, ‘গান আমার প্রাণ। তাই গানকেই সাবজেক্ট করে পড়াশোনা করেছি।’ জয়তী চক্রবর্তী প্রিয় শিল্পী। উজান মোবাইলে সিনেমা আর ওয়েব সিরিজ দেখে। তাঁর বাবা-মায়ের এ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। বাইপাসের ধারের একটি আবাসনে বসে উজান আরও বলেন, ‘থ্রিলার সিনেমা দেখতে ভালো লাগে। প্রিয় পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ ও সৃজিত মুখোপাধ্যায়। প্রিয় সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জয় গোস্বামীর কবিতা ভালো লাগে।’ বাবা গৌরব চক্রবর্তীর কথায়, ‘গানের রেওয়াজে বসা নিয়ে মাঝে মধ্যে বকুনি খেয়েছে।’ বাবা-ছেলে মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করছেন এই ছবিটি তাঁদের দেওয়ালে ঝুলছে। উজান এদিন মায়ের হাতের মটন বিরিয়ানি খেতে চেয়েছেন। মা সোনালী চক্রবর্তী বললেন, ‘মেধা তালিকায় না এলেও রেঁধে খাওয়াতাম।’ উজান লিখতে ভালোবাসেন। থিয়েটার করেছেন। সিনেমার রিভিউ লেখেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছোটবেলা থেকে পড়াতে ভালো লাগে তাঁর। নিজে পড়বেন বাংলা সাহিত্য। পছন্দের কলেজ প্রেসিডেন্সি কিংবা যাদবপুর। আর হবেন সঙ্গীতশিল্পী।