সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
জল সরবরাহ ও জঞ্জাল সাফাইকে কেন্দ্র করে বেহাল পানিহাটির নাগরিক পরিষেবা। এই তাপপ্রবাহের মধ্যে জলের সমস্যা আরও তীব্র হচ্ছে। জলের জন্য পানিহাটিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ লেগেই আছে। কিছুদিন আগে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, হুমকি দিয়েছিলেন ভোট বয়কটের। সোমবার সকালে ফের জলের দাবিতে মহিলারা রাস্তা অবরোধে শামিল হন।
সেই সময় প্রচার সেরে ফিরছিলেন সৌগত রায়। তাঁকে দেখে ওই মহিলারা চিৎকার করে বলে ওঠেন, ছ’দিন ধরে জল নেই। এই গরমে কী করে বাঁচব? পুরসভার কাছে বারবার আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। আপনি কিছু একটা করুন। এরপর সৌগত রায় অবরোধকারীদের সামনে পুরসভার জল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য তীর্থঙ্কর ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন। এরপরই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলাররা সেখানে হাজির হন। পানীয় জলের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ ওঠে। পরে পুরসভার পক্ষ থেকে জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয়।
তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় বলেন, আমাকে দেখে বিক্ষোভ কেউ দেখাননি। আসলে তাঁরা নিজেদের দাবির কথাই জানিয়েছেন। ছ’দিন ধরে এলাকায় জল নেই। তাই মহিলারা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। আমি পুরসভাকে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত জলের সমস্যা মিটে যাবে। বিজেপি নেতা কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না। সাংসদ হিসেবে তিনি যে কিছু করেননি, তা আবার প্রমাণ হয়ে গেল। ভোট বাক্সে মানুষ এর জবাব দেবে। অবশ্য জল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, লাইনের কাজ হচ্ছিল বলেই জল সরবরাহ করা যায়নি। বারোটা পর্যন্ত সময় নিয়েছিলাম। তার মধ্যে জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে গরমে জলস্তর নেমে গেছে। তাই চাহিদা মতো জল আসছে না, সমস্যা হচ্ছে। আমরা পুরসভা থেকে ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি। -নিজস্ব চিত্র