সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
গত কয়েকদিন ধরে জ্বলছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। প্রচণ্ড গরমে জমির পাট, তিল, ও বিভিন্ন ধরনের সব্জি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে বক্তব্য কৃষি আধিকারিকদের। বনগাঁ মহকুমায় এবার ২৩ হাজার ৯৩৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। পাট চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৪৯০ হেক্টরে। এই মহকুমায় তিলের চাষ সেভাবে না হলেও পাঁচ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে তৈল শস্য তিলের চাষ হয়েছে। এখানে অন্যতম অর্থকরী ফসল হল পাট। তার উপর অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে। এই চাষে বাড়তি খরচ হওয়ায় চাষিদের কপালে চিন্তার গাঢ় ভাঁজ। গাইঘাটার শসাডাঙার বাসিন্দা সুব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘গতবার ছ’বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। এবার গরম বেশি বলে চাষ অনেক কম করেছি। যেটুকু পাট আছে তা বাঁচাতেই হিমশিম খাচ্ছি। ইতিমধ্যে দু’টো সেচ দেওয়া হয়েছে। ফলে খরচ বেড়েই চলেছে।’ এর পাশাপাশি অন্যান্য কৃষকদের বক্তব্য, গরমে পাট গাছের প্রধান শত্রু হল পোকা। গরম যত বাড়ছে ততই বাড়ছে পোকার উপদ্রব। ফলে ঘন ঘন কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এতেও বাড়ছে খরচ। শুধু পাট নয়, তীব্র দাবদাহে অন্যান্য ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে। তিল চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড তাপে তিলের ফলন কমবে। ধানের হিট স্ট্রোক বা হিট শক লাগার সম্ভাবনাও রয়েছে। ফলে ধানের ফলনও কম হবে। এবং ধান চিটে হয়ে যাবে। তবে প্রায় ৬০ শতাংশ বোরো ধান উঠে যাওয়ায় সমস্যা একটু কম হবে বলে মনে করছেন কৃষি আধিকারিকরা। এই গরমে কৃষকরা অনেকেই মাঠে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ফলে বিকেলবেলা চাষ করছেন তাঁরা। বনগাঁ মহকুমার সহকারি কৃষি অধিকর্তা নারায়ণ দেবনাথ বলেন, ‘চাষের যথেষ্ট ক্ষতি হবে। ধানে এর প্রভাব সেভাবে না পড়লেও পাট বা তিল চাষে ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা।’ -নিজস্ব চিত্র