সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
রাজ্যজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এই পরিস্থিতিতে বারাসত শহরজুড়ে লোডশেডিংয়ে তিতিবিরক্ত মানুষ। দিনে বা রাতে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকছে। ফলে গরমে নাকাল মানুষ। সম্প্রতি বারাসত শহরে মাত্রা বেড়েছে লোডশেডিংয়ের। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেখা যাচ্ছে অনেক বাড়িতে একটি এসির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা অতিরিক্ত এসি বসাচ্ছে। এভাবে বসানো এসির জেরেই লোডশেডিংয়ের বাড়বাড়ন্ত। ফলে ট্রান্সফর্মারের উপর অতিরিক্ত চাপ থেকে সমস্যা বাড়ছে। জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে বারাসত মহকুমায় রোজ ২০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ প্রয়োজন হতো। এবছর রোজ প্রায় ৩০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে জোগান সঠিক থাকলেও তা বণ্টনের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা থাকছে। আর সেই সমস্যা মেটাতেই অতিরিক্ত ১৫৫টি ট্রান্সফর্মার বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে দপ্তর। এই ট্রান্সফর্মারগুলি বসলে হঠাৎ করে চালু করা এসির চাপেও কিছু সমস্যা হবে না। এছাড়া লোডশেডিংয়ের পরিমাণও কমবে।
এ প্রসঙ্গে বারাসত মহকুমা বিদ্যুৎ দপ্তরের ডিভিশনাল ম্যানেজার সমীরকান্তি গাঁয়েন বলেন, প্রতিটি ট্রান্সফর্মারে যতটা চাপ থাকার কথা, এখন চাপ তার দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত এসি বসানোর ফলেই সমস্যা বেড়েছে। মানুষকে এই নাজেহাল অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে ১৫৫টি ট্রান্সফর্মার বসানো হচ্ছে। এছাড়া বৈদ্যুতিক তার বা আনুষঙ্গিক কিছু জিনিসপত্র পরিবর্তন করা হচ্ছে। আর দপ্তরের নির্দেশ মেনে সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কেউ সমস্যার কথা জানালেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।