সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
সোমবার হাইকোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে কল্যাণের আইনজীবী মামলা প্রত্যাহার করার কথা জানান। ব্যক্তিগত কারণে ওই সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি। যদিও বিচারপতি সেনগুপ্ত সেই আবেদন এদিন মঞ্জুর করেননি। আগামী ৯ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
যদিও আইনজীবী মহলের ব্যাখ্যা, শীর্ষ আদালত শোকজ নোটিস পাঠানোর পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কল্যাণ। হাইকোর্টে তাঁর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল প্রার্থী তথা ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের ৫০০ টাকা করে দিয়ে ভোট কিনেছিলেন সাধন পাণ্ডে। প্রায় দু’বছর ধরে হাইকোর্টে মামলাটি চলছে। শুনানি বার বার পিছিয়ে যাচ্ছিল। এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালত কল্যাণকে তীব্র ভর্ৎসনা করে শোকজ করে। মামলায় মনোযোগ দেওয়ার কারণে তাঁকে কেন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে না, সেই প্রশ্নও তোলে সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই এদিন হাইকোর্টে মামলাটি প্রত্যাহারের আর্জি জানান কল্যাণ।
এই বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা উত্তর কলকাতা যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু জানিয়েছেন, খবরের কাগজে দেখেছি, কল্যাণের অভিযোগ ছিল, এই ভোট চিটিং করে জেতা হয়েছে। কিন্তু, কাউন্টিংয়ের সময় তো সিসি ক্যামেরা ছিল। সেই ফুটেজগুলি যাচাই করতে কেন এতদিন লাগল বুঝলাম না। ৫০০ টাকা করে দিয়ে ভোট নেওয়ার কোনও প্রমাণও নেই। একটা মানুষ মারা গিয়েছেন। অঞ্চল বিধায়কহীন। বিধায়ক তহবিলের টাকা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে বিধায়কের শংসাপত্র দরকার হয়। সেটাও এখানকার বাসিন্দাদের অন্য বিধায়কের থেকে নিতে হচ্ছে। মানুষ সমস্যায় ভুগছেন। অন্যদিকে, এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, মামলা প্রত্যাহার হয়ে গেলে মানিকতলা কেন্দ্রর বিধানসভা উপ-নির্বাচনের জন্য তারা প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে ৯ হাজার ৯৬৪ ভোটে নিকটতম বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে হারান সাধন পাণ্ডে। তার ১০ মাসের মধ্যে অসুস্থতাজনিত কারণে মৃত্যু হয় তৃণমূল বিধায়কের। এরপরেই হাইকোর্টে ‘ইলেকশন পিটিশন’ করেন কল্যাণ।