পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
পেশায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি রোহিত একবালপুর থানার সোর্স হওয়ার সুবাদে খুনের পর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিল। সেকারণেই সে সাবার দেহ সিমেন্টের বস্তায় ভরে এম এম আলি রোডে নিজের বাড়ির সামনেই ফেলে দিয়েছিল। এমনকী সে নিজেই সেই রাতে একবালপুর থানার অফিসারকে ফোন করে বস্তাবন্দি দেহ রাস্তায় পড়ে থাকার খবর দিয়েছিল।
রোহিতের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, স্থানীয় থানার সোর্স হওয়ার সুবাদে পুলিস তার কথা বিশ্বাস করবে। তাই এই রহস্যজনক খুনের তদন্ত চলাকালীন সে বারে বারে বয়ান বদল করে পুলিসকে বিভ্রান্ত করে গিয়েছে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেভে পড়ে তার স্ত্রী আঞ্জুম।
কেন খুন হলেন সাবা খাতুন? রোহিতের স্ত্রী মাঝে মধ্যেই হেস্টিংসে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতেন। সেই সুযোগে সাবার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে রোহিতের। কিছুদিন ধরেই সাবা বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল তাকে। বিয়েতে রাজি না হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে, সাবার দাবি ছিল এমনটাই। কিন্তু এই টাকা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না রোহিতের। তাই সে খুনের ছক কষে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।
লালবাজারের এক সূত্র জানিয়েছে, শৈশবে মাকে হারায় সাবা। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা থাকতে শুরু করেন। কার্যত অনাথ সাবা মানুষ হয়েছে দিদার কাছেই। একটা সময় টাকার জন্য নিজের সম্ভ্রম বিক্রির কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। এভাবেই একবালপুর, ওয়াটগঞ্জ এলাকার প্রোমোটার, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে। এরমধ্যেই মাদকের নেশা গ্রাস করে সাবাকে।
কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর থেকে কার্যত গুম মেরে রয়েছে রোহিত। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে যা বলার, তা বলেছেন স্ত্রী আঞ্জুম। এই রহস্যজনক খুনের মামলার তদন্তভার স্থানীয় একবালপুর থানার হাত থেকে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।