উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছায় রাজ্যজুড়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নতুন করে এককালীন অনুদান দেওয়ার এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে এই পদক্ষেপ বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। কলকাতার স্বনির্ভর দলগুলিও অনুদান পাবে। শহরে রয়েছে ৭৫-৮০টি এরিয়া লেভেল ফেডারেশন বা এএলএফ। এক একটি এএলএফ-এ ১৫-৩০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। ঠিক হয়েছে, প্রত্যেকটি দলকে ১০ হাজার টাকা করে এককালীন অনুদান দেওয়া হবে। এবং এক একটি এএলএফ পাবে আরও ৫০ হাজার টাকা অনুদান। স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা সুডা মারফত রাজ্য এই টাকা কলকাতা পুরসভাকে দিচ্ছে। এর বাইরেও আলাদা করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য ব্যাঙ্ক লোনের ব্যবস্থা করে দেবে পুরসভা। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য স্বপন সমাদ্দার জানিয়েছেন, মূল উদ্দেশ্য বেকার যুবক, যুবতীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করে তোলা। লকডাউনে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি টাকার অভাবে বেকায়দায় পড়েছিল। ফের তাঁদের কাজে ফিরিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ এটি। যে সব স্বনির্ভর দলের বুক অফ অ্যাকাউন্টস বা অডিট রিপোর্ট ঠিকঠাক থাকবে, তাঁরাই এই এককালীন অর্থ পাবে। না হলে টাকা দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, ১৮-৪০ বছরের মধ্যে বেকার পুরুষ, মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে নানা ধরনের কাজকর্ম শেখানো হয়। এই এককালীন অনুদান পেলে স্বনির্ভর দলগুলির সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২৫-৩০ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২ কোটির বেশি টাকা এই খাতে খরচ করছে পুরসভা। সরাসরি টাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। বুটিক, বিউটিশিয়ান, মোবাইল এবং কম্পিউটার রিপেয়ারিং, এক্স রে সহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম চালানোর টেকনিশিয়ানের ট্রেনিং, ড্রাইভিং, নার্সিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখিয়ে বেকারদের স্বনির্ভর করে তোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।