উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
ওই বাস যাত্রীদের কাছে এটা নতুন অভিজ্ঞতা নয়। জানালেন, বহু চালকই এ ভাবে গাড়ি চালান। বিপজ্জনকভাবে ওভারটেক করেন। রাস্তায় অনেক বাঁক আছে। সেখানেও কান থেকে ফোন নামান না চালকেরা। কিছু কথা বললে চালকরা পাল্টা রাগ দেখান। স্পষ্ট বলে দেন, ‘মোবাইলে জরুরি ফোন এসেছে। তাই কথা না বললে চলবে না। যদি না পোষায় বাস থেকে নেমে যান। বাসের মধ্যে থাকা চার-পাঁচজন যাত্রী ছাড়া কারওরই আর তেমন প্রতিবাদ মেলে না। এমন ভাবেই চলে ঝুঁকির যাত্রা।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়মিত বাসে যাতায়াত করেন সুবর্ণপুরের বাসিন্দা রাজীব সাহা। বললেন, বাস চালক মোবাইলে কথা বলতে বলতে বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছেন, এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁরও। পুলিস মাঝে মধ্যে ধরপাকড় করে না তা নয়। কিন্তু পুলিসকর্তারা বললেন, মানুষ যদি সচেতন না হন, তা হলে সব বাসে নজরদারি করা অসম্ভব। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে বাস চালকদেরও আরও সচেতন হতে হবে। সবটা আইন করে করা সম্ভব নয়। মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের ঘটনার পরেও পরিস্থিতি বদলের লক্ষণ নেই কল্যাণী মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাস চালকদের মধ্যে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক (অধুনা ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক), বনগাঁ-চাকদহ রাজ্য সড়ক-সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে যাঁরা নিয়মিত বাসে যাতায়াত করেন, সকলেরই অভিজ্ঞতা মোটের উপরে একই। বহু চালক হয় মোবাইলে খোশগল্পে মেতে থাকেন, না হলে বি়ড়ি-সিগারেট ফোঁকেন, তা হলে স্টিয়ারিং ছেড়ে দু’হাতে খৈনি ডলেন। যাত্রীদের অভিযোগ, চালকদের মধ্যে প্রত্যেকেই যে অসচেতন, তা নন। কিন্তু দৌলতাবাদের ঘটনার পর যে সক্রিয়তা বেড়েছিল পুলিসের, তাতে ঢিলেমি দেখা দিয়েছে। ফলে চালকদের অন্যমনস্কতার জেরে হঠাৎ হঠাৎ ব্রেক কষলে যাত্রীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। আবার বাসের মাথায় চড়ে যাতায়াতের প্রবণতাও জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে ক্রমশ বেড়েছে। লকডাউনের সময় যানবাহনের আকালের জেরে নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর জন্য বাসগুলির ছাদকেই বেছে নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তাতে প্রাণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। জাতীয় সড়কের পার্শ্ববর্তী বসতি এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। চারপাশে বড় বড় গর্ত। তাতে বাসগুলিতে যাত্রী ওভারলোডিংয়ের ফলে এমনিতেই একদিকে হেলে চলে। তার উপরে ছাদে ঠাসা যাত্রী। যেকোনও সময় উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাতে বড়সড় প্রাণহানি কেউ আটকাতে পারবে না।
ওভারটেক বা রেষারেষি চলে তার কারণ,
নির্দিষ্ট সময়ে স্ট্যান্ডে পৌঁছতে না পারলে নাকি জরিমানা দিতে হয়। ফলে যাত্রা শুরুর প্রথম দিকে ঢিমেতালে যাত্রী তুলতে তুলতে চললেও শেষের পথটুকু হু হু করে গাড়ি চালান চালকেরা। কিন্তু চালক-খালাসি কেউ পাত্তা দেবে না এই ভয়ে অনেকেই চুপ করে থাকেন।