কর্মপ্রার্থীদের কোনও সুখবর আসতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। গুপ্ত শত্রু থেকে সাবধান। নতুন কোনও প্রকল্পের ... বিশদ
দুর্গোৎসবের আগে শেষ রবিবারও ক্রেতার অভাব ছিল শহরের বাজারগুলোতে। মোটামুটি পঞ্চমী-ষষ্ঠী পর্যন্ত বাজারে ভিড় থাকে। করোনা আবহে সেই শেষ বেলাতেও বিক্রেতাদের মুখের হাসি চওড়া হল না। ধর্মতলার নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট, হাতিবাগান বা শ্যামবাজার, উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই একই ছবি।
তবে তলানিতে এসে ঠেকে যাওয়া বাজারে পুজো উপলক্ষে কিছুটা মুখ রক্ষা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। অন্যান্য বছর মোটামুটি মাস দেড়েক ধরে বাজারে ভিড়ের চাপ থাকে, বিক্রি হয় বিপুল। তবে এ বছর পুজোর দিন কুড়ি আগেও বাজারের হাল ছিল খুব খারাপ। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে মানুষ শহরের বাজারহাটে ভিড় জমিয়েছেন এবং টুকটাক কিছু কেনাকাটা করেছেন। ‘শেষ কয়েকদিন নিঃশ্বাস ফেলার সময় থাকে না। এ বছর সকলের পকেটে টান। তাই বেশি বেশি করে কেউ আর কিনছে না’, ষষ্ঠীর পড়ন্ত বেলায় নিউ মার্কেটে বসে তেমনটাই বললেন দোকানি সোহেল খান। বরানগর থেকে এসেছিলেন সেমন্তী ঘোষ। সঙ্গে পুত্র এবং কন্যা। সেমন্তীর কথায়, ‘এ বছরটা সেভাবে আনন্দ করব কোথায়! তা-ও কিছু কেনাকাটা করতে হয় তাই আসা। এতদিন বাজার করা হয়নি, তাই আজকে ছুটি পেলাম ওদের নিয়ে এসেছি। এবার অল্পের উপর বাজার করছি। ভিড় বেশি হলেও কেনাকাটার বাজার কিন্তু সেভাবে চাঙ্গা হল না।’
হাতিবাগান বাজারে পোশাকের দোকান সন্তোষ প্রসাদের। সদ্য বিকেল হয়েছে। দোকানে তখন তাঁকে ঘিরে পাঁচজন ক্রেতা– সকলেই মহিলা। ‘কেনাকাটা হচ্ছে। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ ঘাটতি বলতেই পারেন। শেষ কদিনে বাজার কিছুটা উঠেছে, কিন্তু তাতেও পকেট ভরল কই!’ বলেছিলেন সন্তোষ।
এবার নমো নমো করে দুর্গোৎসব কাটানোর চেষ্টা সকলেরই। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেনাকাটাতেও ভাটা পড়েছে, ফুটপাতের দোকানগুলি থেকে শুরু করে বড় দোকান সর্বত্র একই চিত্র।
গড়িয়াহাট এবং ধর্মতলার পুজোর বাজারের ভিড়ের সঙ্গে রীতিমতো টেক্কা দিয়েছে হাতিবাগান বাজারের ভিড়। ক্রেতাদের বক্তব্য– এখানে জিনিসপত্রের দাম কলকাতার বাকি বাজারগুলোর তুলনায় সস্তা। সেই কারণেই তাঁরা প্রতিবার পুজোয় হাতিবাগান থেকেই কেনাকাটা করেন। তবে ফুটপাথের বাজারগুলিতে ভিড় দেখা গেলেও শপিংমলগুলিতে কিন্তু শেষ দিনে ফাঁকাই ছিল।