উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
দিন কুড়ি আগের কথা। ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত তারামণি ঘাট রোডে এক পাগল কুকুর কামড়ে দেয় স্থানীয় এক বাসিন্দাকে। এতে তিনি সরাসরি ফোন করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে। কিন্তু শেষমেশ সেই কুকুরকে পুরসভার তরফে তুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
১১০ নম্বর ওয়ার্ডের গড়িয়া মিলন পার্ক, পাটুলি এফ ব্লকে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বাসিন্দা কুকুরের কামড় খেয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে। একই সমস্যা পাটুলি কিউ ব্লক রেল কলোনিতেও। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের অরবিন্দ পল্লিতেও কুকুর নিয়ে রোজকার ঝামেলা। কোনও পশুপ্রেমী নিয়মিত সারমেয়দের খাবারের ব্যবস্থা করছেন। যার জেরে আবার ঝামেলা করছেন অন্য প্রতিবেশী। জনপ্রতিনিধি কার কথা শুনবেন? সেই নিয়ে প্রতিদিনের টানাপোড়েন জারি থাকছে। সম্প্রতি, সংযুক্ত কলকাতার বেহালা অঞ্চলের বাসিন্দা এক ভুক্তভোগী ফোন করেন ‘টক টু কেএমসি’তে। সেখানেও এই চতুষ্পদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অভিযোগ শুনতে হয়েছিল পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে।
১১০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অরূপ চক্রবর্তী বলেন, এটা ঠিক কুকুর অনেক জায়গাতেই বেড়েছে। গত দু’-তিন মাসে আমার ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে কুকুরের কামড়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। যদিও শেষ পর্যন্ত এলাকার এক পশুপ্রেমীর সহায়তায় ঝামেলা সামলানো গিয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খবর দিলেও পুরসভার গাড়ি এসে কুকুর তুলেও নিয়ে যাচ্ছে। সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন ১১৫ নম্বরের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রত্না শূরও। তিনি বলেন, কুকুরের কামড় খাওয়ার অভিযোগ একাধিক এসেছে। তাঁর এলাকার কয়েকটি পাড়া থেকে কুকুরের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাচ্ছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুও।
বর্তমানে পুরসভার দুটি ডগ পাউন্ড আছে, একটি ধাপায় এবং অপরটি এন্টালিতে। প্রতিবছর পথকুকুরদের নির্বীজকরণ এবং চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট টাকা বরাদ্দ হয়। এক কর্তা বলেন, কুকুরের নির্বীজকরণ প্রক্রিয়া যে পুরোপুরি বন্ধ, এমনটা নয়। তবে অন্যান্য বছর নিয়মিত যে কাজ হয়, করোনায় সেটা অবশ্যই বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। চিকিৎসক, কর্মীর সমস্যা করোনা আবহে প্রকট। লকডাউনের সময় পুরোপুরি কাজ বন্ধ ছিল বলাই যায়। তবে অল্প অল্প করে ফের কাজ হচ্ছে।