প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লোহা ও ... বিশদ
এদিকে, গত কয়েকদিন ধরে কলকাতার রাস্তা-হাসপাতাল যেভাবে ‘জেট উইথ স্প্রিঙ্কলার’ গাড়ি দিয়ে স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে, সেটি ট্যুইটের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে যাবতীয় উদ্যোগকে প্রশংসা করলেন ‘বিগ বি’। বুহস্পতিবার সকালে অমিতাভ বচ্চন ট্যুইট করে বলেন, বাহ্, দারুণ কাজ। মুম্বই এই কাজটি আমাদের জন্য করা হতে পারে না! তিনি কলকাতার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ বোস রোডের একাংশের ভিডিও দেখে এই ট্যুইট করেন। স্বাভাবিকভাবেই ‘বিগ বি’র এই প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত মেয়র। তিনি বলেন, আমার পুরসভার কর্মী-আধিকারিকরা প্রত্যেকে রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। শহরের মানুষ যাতে নিরাপদে থাকেন, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করছেন। অমিতাভ বচ্চনের মতো একজন ব্যক্তিত্ব বিষয়টিতে প্রশংসা করায় আমরা তো খুশি হবই। পুরকর্তারাও জানিয়েছেন, গোটা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয়েছে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের জন্য। তিনি যেভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন, তাতেই প্রত্যেকে কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ পেয়েছেন।
এদিকে, কলকাতা পুরসভার সুসংহত বরো প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করোনা ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার আর্জি জানালেন কলকাতা পুরসভার ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলার মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখে এই অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার অন্তর্বর্তী বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনের পর প্রত্যেক পুর প্রতিনিধি ১৫ লক্ষ টাকা করে সুসংহত বরো প্রকল্পের তহবিল থেকে উন্নয়নের জন্য ব্যয় করার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার ১৪৪ জন কাউন্সিলারের মিলিত অর্থের পরিমাণ হবে ২১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সেই অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর করোনা ত্রাণ তহবিলে প্রদান করা হোক। মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিম সেই দায়িত্ব নিন। প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ত্রাণ তহবিল তৈরি করেছেন। ইতিমধ্যেই সেখানে একাধিক সাংসদ-বিধায়ক থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কলকাতা পুরসভার তরফেও মহানাগরিক এই ধরনের কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করুন, সেই অনুরোধ জানিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী।
যদিও মৃত্যুঞ্জয়বাবুর এই দাবিকে ‘গিমিক’ বলে কটাক্ষ করেছেন ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত। তাঁর কথায়, উনি গিমিক করছেন। মৃত্যুঞ্জয়বাবুর যদি সাহায্য করার সদিচ্ছা থাকে, তাহলে উনি ব্যক্তিগতভাবে ওনার পক্ষে যতটা সম্ভব, সেই অর্থ দান করুন।