বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
যে ক্যুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে চরস পাঠানো হচ্ছিল, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এনসিবি কর্তারা। সেখান থেকে রিজওয়ান বলে এক ব্যক্তির নাম হাতে আসে তাঁদের। জানা যায়, খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা রিজওয়ান চরসের বেআইনি কারবারে যুক্ত। তার কাজই হল ক্যুরিয়ার বুক করে বিদেশে এই নেশার সামগ্রী পাঠানো। হংকং এবং থাইল্যান্ডে তা পাচার করা হয়। এখানে চরস চড়া দামে বিক্রি হওয়ায় এর পাচার বাড়ছে কলকাতা থেকে। এরপরই রিজওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়। ধৃতকে জেরা করে জানা যায়, এই কারবারের মাথা হল মোর্তাজা নামে এক ব্যক্তি। একটি চক্র গড়ে সে এই কাজ চালাচ্ছে। তার মাধ্যমেই বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে চরস। মহিলাদের জুতোর মধ্যে এই মাদক লুকিয়ে রাখার কাজটি করছে সে। এই কাজের জন্য আলাদা লোক রাখা হয়েছে। সেখানে প্যাকেজিংয়ের কাজ চলছে। এরপরই তার বাড়িতে হানা দেন এনসিবি অফিসাররা। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। তার কাছ থেকে মিলেছে ২০৩১ কেজি চরস। ধৃত জেরায় জানিয়েছে বিমানবন্দর থেকে যে মাদক উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি সে হংকং পাঠাচ্ছিল। এগুলি প্রথমে তুলে দেওয়া হয় রিজওয়ানের হাতে। তার মাধ্যমে বিমানবন্দরে পৌঁছয় এই মাদক।
তদন্তে জানা গিয়েছে, মোতার্জা নিউ মার্কেট সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে মহিলাদের জুতো কিনে আনত। এরপর বাড়িতে বসে জুতোর নীচে বিশেষ খাপ তৈরি করা হত। এই কাজের জন্য আলাদা লোক রাখা হয়েছিল। তারা জুতোর মধ্যে চরস ভরার কাজটি করত। মাদক বিশেষভাবে তৈরি খাপে রাখার পর তার উপর পিচবোর্ড .মেরে দেওয়া হতো।