বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
গত বছর থেকেই এই পুরস্কার চালু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মূলত লাইব্রেরি ব্যবহারের উপর পড়ুয়াদের উৎসাহ বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সময়কাল পর্যন্ত কে কতক্ষণ লাইব্রেরিতে সময় কাটিয়েছেন, তা নির্ধারণ করা হয়। শুভজিৎ ছাড়াও আরও কয়েকজন পড়ুয়া আছেন, যাঁরা ৮৫০-৯০০ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন গ্রন্থাগারে। শুভজিৎ, কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকান্টস নিয়ে পড়াশুনা করছেন। কলেজে দ্বিতীয় সেমেস্টার থেকেই তাঁর লাইব্রেরি ব্যবহারে আগ্রহ তৈরি হয়। তাঁর কথায়, ক্লাসে বাকি বন্ধুদের দেখলাম কেরিয়ার নিয়ে কত সচেতন তাঁরা। তখন একটা ভয় তৈরি হয়েছিল আমার মধ্যে। তাই ঠিক করে ফেললাম, আমাকেও নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। সেখান থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হল। কলেজ প্রিন্সিপালের থেকেও উৎসাহ পেয়েছিলাম।
কলেজের এই লাইব্রেরি সকাল ১০টায় খোলে এবং সন্ধ্যা ৭টায় বন্ধ হয়। শুভজিৎ প্রাতঃ বিভাগে পড়াশুনা করেন। তাই ভোর ছ’টায় ক্লাসে ঢুকে যেতে হয়। কলেজ শেষ হয় ৯টা ৫০ মিনিটে। ওই পড়ুয়ার বক্তব্য, কলেজ শেষ হওয়ার পর প্রাতঃরাশ সেরে সাড়ে ১০টা নাগাদ লাইব্রেরিতে ঢুকি। আর লাইব্রেরি যখন বন্ধ হয়, তখন বেরই। মাঝে কয়েক ঘণ্টা অন্তর একটু বিশ্রাম নিয়ে থাকি। এতক্ষণ লাইব্রেরিতে কাটানোর কারণ কী? শুভজিৎ বলেন, বাড়িতে থাকলে সম্পূর্ণভাবে মনোযোগী হওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু আমাদের কলেজের লাইব্রেরির যা পরিবেশ, তাতে বই পড়ার একটা নেশা আপনা আপনি তৈরি হয়ে যায়। কত। কারণ মনে হত, এই সময়টা প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ লাগানো যেত।
কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যাকান্টসের প্রস্তুতি ছাড়াও রোজ একটি করে ম্যাগাজিন এবং খবরের কাগজ পড়ার প্রতিও আগ্রহ রয়েছে এই ছাত্রের। সাধারণত, এখনকার প্রজন্ম খবর অনলাইনেই পড়ে নিতে বেশি পছন্দ করেন, সেক্ষেত্রে শুভজিৎ কিছুটা ব্যতিক্রম। পড়ার মাঝে মাঝে গল্পের বইও শেষ করেছেন তিনি। তার মধ্যে সত্যজিৎ রায়ের ‘ফেলুদা সমগ্র’ যেমন আছে, তেমনই ড্যান ব্রাউনের ‘ইনফার্নো’র মতো বইও আছে। এতক্ষণ সময় লাইব্রেরিতে কাটানোর ক্ষেত্রে পরিবারের কী প্রতিক্রিয়া ছিল? ঠাট্টা করে শুভজিৎ জানান, প্রথমে তাঁরা বিশ্বাসই করতে চাননি। পরে অবশ্য মানলেন। আর আজ তার স্বীকৃতি পেয়ে ভালো লাগছে।