বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, মৃত হকারের নাম শেখ জসিমউদ্দিন (৩০)। তাঁর বাড়ি ফতুল্লাপুরেই। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধায় এলাকারই বাসিন্দা বারুদ নামে এক যুবক জসিমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন তাঁর স্ত্রী। সারা রাত ধরে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেন। তবুও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা দেখেন, ফতুল্লাপুরেই কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে একটি পাঁচিল দেওয়া ঘেরা জমিতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন জসিম। সারা দেহ তাঁর আগুনে ঝলসে গিয়েছে। মাথায় ভারী বস্তুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জুতো দেখে স্বামীর দেহ শনাক্তকরণ করেন স্ত্রী।
মৃতের স্ত্রী রেণু বিবি বলেন, স্বামী সন্ধায় কাজ থেকে ফিরেছিল। কিছু পরে এলাকারই বারুদ নামে একজন স্বামীকে ডাকতে আসে। বারুদ বলেছিল, কারও কাছে সে ১০০০ টাকা পায়। তার তাগাদা দিতে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে যাবে। আমি বারণ করেছিলাম। বারুদ জানিয়েছিল, স্বামীকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। এক প্রকার জোর করেই স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায় সে। ১৫ মিনিট পর তারা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এক ঘণ্টা পরেও ফিরে না আসায়, বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমি গলি থেকে মেইন রাস্তায় চলে আসি। সারারাত ধরেই খোঁজাখুঁজি করা হয়। স্বামী মোবাইল বাড়িতে রেখে গিয়েছিল। এদিন সকালে বারুদের বাড়িতে গেলে দুর্ব্যবহার করে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে সকাল ৮টা নাগাদ জানতে পারি, একজন খুন হয়েছে। মাঠে পড়ে রয়েছে। ঘটনাস্থলে জুতো দেখে চিনতে পারি, এটাই আমার স্বামী।
রেণু বিবির অভিযোগ, বারুদ হাজারখানেক টাকা পেত। তা নিয়ে প্রায়ই তাগাদা দিত। স্বামী বলেছিল, টাকা দিয়ে দেবে। হয়তো একারণেই স্বামীকে খুন করা হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচিল দিয়ে ঘেরা জায়গার মধ্যে রাতে মদ্যপানের আসর বসেছিল। সেই সময়ই জসিমের সঙ্গে কারও বচসা বাধে। পুলিসের তদন্তে অনুমান, প্রথমে তাঁর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে বারুদকে আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। নিমতা থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।