উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
মৃতের এক সহযাত্রী অনির্বাণ সরকার বলেন, শ্যামনগর থেকে আমরা ১০ জন মোটরবাইকে মঙ্গলবার শেষ রাতে রওনা হয়েছিলাম। ওইদিন দুপুর তিনটে নাগাদ সোহারই মোড় ছেড়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। জাতীয় সড়কে তখন যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ ছিল। আমরা একে একে এগিয়ে গেলেও কৌশিকবাবু খানিকটা পিছনে ছিলেন। ওই সময় কোনও একটি লরি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে যায়। পেছন থেকে এক বাইক আরোহী এসে আমাদের ঘটনার কথা জানান। আমরা সকলেই সেখানে ছুটে যাই। প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। কিন্তু শরীরের বাইরে তেমন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কিন্তু বুধবার সকালে কৌশিকবাবু মারা যান। বছরখানেক আগেও তিনি বাইকে সিকিম-দার্জিলিং ভ্রমণ করে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে আমাদের সকলের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। বছরে একবারের জন্য পাহাড় বা জঙ্গলে ভ্রমণে সবাইকে তিনি উৎসাহিত করতেন। খুব সাবধানে বাইক চালাতেন। অথচ সাবধানি ওই মানুষটাকেই দুর্ঘটনায় মরতে হল।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই রওনা হয়ে মৃতের স্ত্রী উমা মল্লিক রায়গঞ্জে চলে আসেন এদিন। সহযাত্রী নয় বন্ধু তাঁদের প্রিয় বাইক রাইডারের মৃতদেহ নিয়ে বুধবার রায়গঞ্জ থেকে হুগলির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।