কর্মপ্রার্থীদের কোনও চুক্তিবদ্ধ কাজে যুক্ত হবার যোগ আছে। ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বিবাহের যোগাযোগ ... বিশদ
বেলঘরিয়া ব্রিজের বয়স ২৬ বছর হয়ে গিয়েছে। অবস্থা ভালো নয়। কয়েকদিন আগে ব্রিজ থেকে চাঙর ভেঙে পড়ে। ব্রিজের নীচে থাকা ফল ব্যবসায়ীরা তার জন্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একই অবস্থা সোদপুর ব্রিজেরও। কয়েক মাস আগে সেই ব্রিজ পরীক্ষা করেন পূর্ত দপ্তর ও পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। এরপরে সেখানে ১৬ টনের বেশি ভারী যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। একইভাবে বেলঘরিয়া ব্রিজের উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানকার এক বাসিন্দা জানান, কিছুদিন আগে ওই ব্রিজের সামনে একটি পণ্যবাহী গাড়ির ধাক্কায় একটি মেয়ের মৃত্যু হয়। ব্রিজটির উপর দিয়ে ভারী গাড়ি গেলে ব্রিজটি কাঁপতে থাকে। ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে থাকেন যাত্রীরা। তাই ব্রিজটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ভালোভাবে মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ত দপ্তর।
বেলঘরিয়া ব্রিজের তুলনায় বয়স অনেক কম বিরাটি ব্রিজের। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ২০০৯ সালে এর উদ্বোধন করেন। বিরাটি রেল স্টেশনের সামনে ব্রিজটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২২টি সাড়ে সাত মিটার উচ্চতার বাঁশের কাঠামো তৈরি করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। এই ব্রিজটির বিয়ারিংগুলি খতিয়ে দেখা হবে। তবে প্রশ্ন উঠেছে কয়েক বছর আগে তৈরি হওয়া ডানলপের একমুখী ব্রিজ নিয়ে। দক্ষিণেশ্বর থেকে ডানলপ মোড় হয়ে বি টি রোডের দিকে ওই ব্রিজটি নেমেছে। টেকনিক্যাল ভাষায় ব্রিজটিকে ‘রাইট টার্ন ফ্লাইওভার’ বলা হয়। এই উড়ালপুলের নকশায় ত্রুটি ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে কারণেই অনেক দিন আগেই ওই উড়ালপুল দিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু চলে ছোট গাড়ি। এবার ওই ব্রিজের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে পূর্ত দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।