নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
১৭ সেপ্টেম্বর বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী তারা বউবাজার এলাকায় কী ব্যবস্থা নিয়েছে। অন্যদিকে, সেখাকার বিপর্যয় সামাল দিতে মেট্রো কর্তৃপক্ষ যেসব বিশেষজ্ঞদের এনেছে, তার ভিত্তিতে কেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে রিপোর্ট চায় বেঞ্চ। সেইসব রিপোর্ট এদিন জমা পড়ে। অন্যতম এক মামলাকারীর তরফে আইনজীবী ঋজু ঘোষাল জানান, মেট্রো কর্তৃপক্ষ একইসঙ্গে মাটির নীচে সুড়ঙ্গ খননকারী মেশিনগুলির অবস্থান সম্পর্কে একটি ‘ড্রয়িং’ বা মানচিত্র জমা দেয়। সেইসঙ্গে তারা জানায়, একটি মেশিনকে অন্তত পাঁচ মিটার সরানো দরকার। কিন্তু, তা সরানো হলে ফের বিপর্যয় দেখা দিতে পারে কি না, সেই সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট চেয়েছে বেঞ্চ।
কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) সূত্রের খবর, বউবাজার এলাকায় বিপর্যয় ঘটেছিল প্রথম টানেলটি কাটার সময়ে। ধর্মতলা থেকে প্রথম টানেলটি এগিয়েছে ১.৬৫ কিলোমিটার। আর, ধর্মতলা থেকে দ্বিতীয় টানেলটি ১.৩৭ কিলোমিটার এগিয়েছে। যে টানেল বোরিং মেশিনটিকে পাঁচ মিটার সরানোর কথা বলা হয়েছে, সেটি রয়েছে দ্বিতীয় টানেলে। কেন মেশিনটিকে সরানোর প্রয়োজন পড়ছে? এই প্রশ্নে সংস্থার এক কর্তা বলেন, আসলে এগিয়ে থাকা প্রথম টানেলটিতে বিপর্যয়ের পর থেকেই দ্বিতীয় টানেলটিতেও মাটি কাটার কাজ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে টানেলের মধ্যে যে জায়গায় মেশিনটি রয়েছে, সেখানে একটি কার্ভ রয়েছে। বর্তমানে মেশিনটিতে রুটিন রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা একান্তই দরকার। তার জন্যই কার্ভ থেকে বার করে মেশিনটিকে একটু সোজা করার প্রয়োজন পড়েছে। সেটি করতে গেলে মেশিনটি পাঁচ মিটার এগতে পারে। আদালতের নির্দেশ মতো এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা আদালতে জমা করা হবে।
কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ চায়, এই দ্বিতীয় টানেলটি কাটার কাজ আগে শেষ করতে। কিন্তু ফের কবে থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টানেল কাটার কাজ? সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, যা পরিস্থিতি, তাতে আরও কয়েক মাস টানেল কাটার কাজ শুরু করানো যাবে না বলেই মনে হচ্ছে। এই কয়েক মাসে বউবাজারে গ্রাউটিং পদ্ধতিতে মাটি শক্ত করার কাজ করা করা হবে। সেই কাজ বর্তমানে চলছেও। তার পর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের অনুমোদন নিয়ে প্রথমে দ্বিতীয় টানেল কাটার কাজ শুরু হবে। এই টানেলটি শিয়ালদহ পৌঁছনোর পর সব ঠিক থাকলে প্রথম টানেলটি কাটার কাজ শুরু করানো হবে।