কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট। দূর ভ্রমণের সুযোগ। অর্থ প্রাপ্তির যোগ। যে কোনও ... বিশদ
বারাসত জেলা হাসপাতালের মনোরোগ ওয়ার্ডে মোট ১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষ। সারা বছর তাঁদের কার্যত ‘বন্দি’ হয়েই ওয়ার্ডে থাকতে হয়। পরিবারের লোকেরাও খুব একটা দেখা করতে আসেন না। পুজোতে তাঁরা ব্রাত্যই থাকেন। তবে এবার পুজোয় তাঁদের বন্দিদশা থাকছে না। মহালয়ার দিনেই প্রত্যেক রোগীকে দেওয়া হয়েছে নতুন জামা কাপড়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠীর দিন ১৫ জন রোগীকে নিয়ে পুজো দেখতে বের হবেন হাসপাতালের সুপার, মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীরা। বারাসত শহরের জনপ্রিয় পুজো মণ্ডপগুলি তাঁদের ঘুরিয়ে দেখানো হবে। পুজোর দিনগুলিতে তাঁদের খাদ্য তালিকাতেও পরির্তন ঘটছে।
প্রাতঃরাশ থেকে দুপুরের আহার, রাতের খাবার সবকিছুতে উৎসবের ছোঁয়া। বাসমতি চালের ভাত, পাঁচমেশালি তরকারি, মুরগির মাংস, খাসির মাংস, দই, মিষ্টি, পাঁপড় সব কিছুই পাতে থাকবে। অষ্টমীর দিন নিরামিষ। নিরামিষ হলেও নানান ধরনের সবজির তরকারি, পনীর, মিষ্টি থাকবে পাতে। ষষ্ঠীর দিন জেলা শহরের পুজো দেখা হয়ে যাচ্ছে তাঁদের। আর সপ্তমী থেকে ওয়ার্ডে বসানো হবে এলইডি টিভি। সেই টিভিতে বিভিন্ন চ্যানেলের পুজো পরিক্রমার লাইভ দেখবেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে পুজোর আড্ডা দেবেন হাসপাতালের আধিকারিকরা। সঙ্গে চলবে চা, মুখরোচক খাবার। খোশগল্পে মেতে উঠবেন সকলে।
বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ষষ্ঠীর দিন বোধন। দেবী দুর্গা ওই দিনই অসুরকে বিনাশ করেন। আমরা ষষ্ঠীর দিনই মনোরোগ ওয়ার্ডে থাকা রোগীদের নিয়ে পুজো দেখতে বের হব। পুজো কমিটির কর্তাদের সঙ্গে কথাও বলা আছে আমাদের। সুপার বলেন, পুজোতে সবাই আনন্দ করেন। ওরাই বা বাদ যাবেন কেন? এই ভাবনা থেকেই আমাদের এই আয়োজন। ওদের জন্য ষষ্ঠী থেকে দশমী ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে।