গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের বাড়বাড়ন্তের সময় থেকে নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া শুরু হয়। এরজন্য কেন্দ্রের তরফে প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ রাজ্যের কাছে আসে। পাশাপাশি রাজ্য নিজের কোষাগার থেকেও খরচ করে। মোদি সরকারের আমলে এই খাতে পাঠানো টাকার পরিমাণ কমেছে। তা বলে নিরাপত্তার সঙ্গে সামান্য আপোষ করতে রাজি নয় রাজ্য। অত্যাধুনিক মেটাল ডিটেক্টর, বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার বিভিন্ন সামগ্রী, ক্যামেরাসহ একাধিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর ২০২৩-২৪ আর্থিক বর্ষে কেন্দ্র জঙ্গলমহলের নিরাপত্তায় বরাদ্দ করেছে কয়েক লক্ষ টাকা। যদিও এর পরিমাণ বিগত বছরগুলির তুলনায় কম। বিভিন্ন জিনিস কেনার কাজেই এই টাকা খরচ করেছে রাজ্য পুলিস।
পাঠানো টাকা কীভাবে খরচ করা হয়েছে, তার বিস্তারিত নথি ও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিল্লিকে পাঠায় রাজ্য। তাতে কোনও খুঁত মেলেনি বলে রাজ্য পুলিসের শীর্ষস্তরের দাবি। তারপরেও রাজ্যকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিভিন্ন ফন্দিফিকির চলছে। এবার নতুন কোনও অজুহাত খাড়া করে রাজ্যকে টাকা দেওয়া বন্ধ করাই লক্ষ্য কেন্দ্রের। সেই কারণেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ইন্টারনাল অডিট টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ। রাজ্যের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই টিম ২৩ জুন কলকাতায় আসছে। ২৮ তারিখ পর্যন্ত থাকবে। ২০২৩’র অক্টোবর থেকে ২০২৪’র মার্চ পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে পাঠানো অর্থের খরচ তারা পরীক্ষা করবে। যদিও কবে কোন সরঞ্জাম কেনা হয়েছে, সরঞ্জামের বিস্তারিত তালিকা, রেজিস্টার, কেনাকাটার ভাউচার সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় প্রস্তুত করে রেখেছেন কর্তারা।