বিদ্যার্থীরা কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষার ভালো ফল করবে। বিবাহার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের কারও ... বিশদ
ট্রেনে দেরাদুন। দেরাদুন থেকে বাসে শাঁকরি (দূরত্ব ২১২ কিমি)। শাঁকরি থেকে সেদিনই জিপে তালুকা পৌঁছে যাবেন (দূরত্ব ১১ কিমি)। থাকার জন্য ফরেস্ট রেস্ট হাউস ও বাংলো আছে।
প্রথমদিন
তালুকা (২ হাজার ১০০ মিঃ) সীমা (২ হাজার ৭০০ মিঃ)—১১ কিমি।
তালুকা থেকে ফরেস্ট বাংলোটিকে বাঁদিকে রেখে পূর্বমুখী পথে নেমে আসতে হবে হর-কি-দুন নালার ধারে। ক্ষণিকের জন্য পুল পেরিয়ে চলে আসতে হবে নদীর ডানতটে। খানিকটা এগিয়ে আবার ফিরে আসবেন বামতটে। হর-কি-দুন নালা আরও নীচে মিলিত হয়েছে সুপিন নালার সঙ্গে। তারপর নৈটোয়ারের কাছে সুপিন নালা মিলিত হয়েছে রুপিন নালার সঙ্গে। সৃষ্টি হয়েছে তমসা বা টনস্ নদীর। তালুকা থেকে হর-কি-দুন অভিমুখে চলার পথে তমসার দেখা পাওয়া যায় না। হর-কি-দুন নালাটিকে বাঁদিকে রেখে অল্প অল্প চড়াইপথ। নদীর ওপারে গঙ্গার গ্রামটিকে দেখা যাবে। বনের মধ্যে দিকে পাকদণ্ডী চড়াইপথে উঠে আসবেন পূর্বদিক থেকে নেমে আসা সিয়াং নালার ধারে। নালাটি পেরিয়ে খানিকটা এগিয়ে পথের পাশে একটা চায়ের দোকান দেখতে পাবেন। এই ছোট্ট গ্রামটি ছাড়িয়ে প্রায় সমতল পথে পৌঁছে যাবেন সীমা গ্রামে। এর বাংলো ও ফরেস্ট রেস্ট হাউস আছে। আছে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান। নদীর ওপারে ওসলা গ্রাম। সরাসরি নয়, অনেকটা ঘুরপথে ওখানে পৌঁছনো যায়।
দ্বিতীয় দিন
সীমা-কলকত্তি ধার-হর-কি-দুন (৩ হাজার ৫৬৬ মিঃ)—১১ কিমি।
সীমা গ্রাম থেকে নেমে আসতে হবে হর কি দুন নালার ধারে। চলে আসবেন একটা পুলের কাছে। এখান থেকে দুটি পথ। নদীর বামতট ধরে পথ চলে যায় রুইসারা তালাও ধুয়ে ধুমধার কান্দি অভিমুখে। ওপথে নয়। চলে আসুন নদীর ডানতটে। পুল পেরিয়ে আবার দুটি পথ। পশ্চিমমুখী পথ চলে যায় ওসলা গ্রামের দিকে। পূর্বমুখী পথে এগিয়ে চলুন হর-কি-দুন অভিমুখে। অল্প অল্প চড়াইপথ। হর-কি-দুন নদীর প্রবাহ থাকবে ডানদিকে অনেকটা দূরে। বাঁদিক থেকে নেমে আসা একটা নালা পেরিয়ে উঠে আসবেন কলকত্তি ধার। এরপর হালকা অরণ্যের মাঝে ছোট ছোট বুগিয়াল অঞ্চল। বাঁদিক থেকে নেমে আসা আরও একটি নালা পেরিয়ে চলে আসবেন ঘাস ও গুল্মে ভরা ময়দানের মাঝে নদীর কাছে। একসময় চলে আসবেন মাতা-কি-গাডের ধারে। পুল পেরিয়ে উঠে আসতে হবে হর-কি-দুনের আস্তানায়। যমদ্বার হিমবাহ সহ স্বর্গারোহিণী-২ শৃঙ্গটিকে দেখা যাবে।
তৃতীয় দিন
হর-কি-দুন-যমদ্বার হিমবাহ-মারিন্দর তাল-হর-কি-দুন
খুব ভোরে চলে আসুন যমদ্বার হিমবাহের মাঝে। স্বর্গারোহিণী শৃঙ্গমালাকে আরও কাছ থেকে দেখা যাবে। ফিরে আসুন হর-কি-দুন। তারপর মাতা-কি-গাড পেরিয়ে মরিন্দর নালার ধারে ধারে পৌঁছে যাবেন মরিন্দর তালের কাছে। ছোট্ট এই সরোবরটি দেখে ফিরে আসুন হর-কি-দুনের আস্তানায়।
চতুর্থ দিন
হর-কি-দুন-ওসাল (৩ হাজার ৩০৮ মিঃ) সীমা
একই পথে নেমে আসবেন ওসলা গ্রামে। এ গ্রামের আরাধ্য দেবতা হল কুরু বংশের অধিপতি দুর্যোধন। দুর্যোধনের মন্দির ও সেই সঙ্গে গ্রামটিকে দেখে চলে আসবেন সীমা।
পঞ্চম দিন
সীমা-তালুকা অল্প অল্প উতরাই পথে চলে আসবেন একটা নালার ধারে। নালাটি পেরিয়ে বনের মধ্যে দিয়ে সরাসরি নেমে আসতে হবে হর-কি-দুন নালার কাছে। তারপর ওঠানামা পথে দুপুরের মধ্যেই তালুকা ফিরে আসতে পারবেন। তালুকা থেকে হাঁটাপথে বা গাড়ি চেপে সেদিনই শাঁকরি ফিরে আসবেন।
এ পথের জন্য মালবাহক বা পথপ্রদর্শকের প্রয়োজন হয় না। সর্বত্রই থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। মালবাহক নিতে হলে শাঁকরি পোর্টার্স অ্যাসোশিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দল বড় হলে মাল পরিবহনের জন্য খচ্চর নেওয়াই ভালো।
শাঁকরি ও তালুকার মাঝে খানিকটা অংশে প্রায়শই ধস নামার ফলে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে মাঝেমধ্যে বেশ খানিকটা পথ বাড়তি হাঁটতে হয়। তখন শাঁকরি থেকেই হাঁটতে হবে।
রতনলাল বিশ্বাস
ছবি : প্রতিবেদক