বিদ্যার্থীরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
১৯৩২ সালের ১৭ জুন মধ্য টেক্সাসের হার্নে জন্মগ্রহণ করেন মেরিম্যান। মাত্র ১১ বছর বয়সেই রেডিও মেকানিক হিসাবে তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সঙ্গে তাঁর ব্যবহারিক বুদ্ধিও ছিল তারিফ করার মতই। শোনা যায়, একবার মেয়ে মেলিসার আবদারে, বাজার থেকে সরঞ্জাম কিনে নিজে একা হাতেই বানিয়ে ফেলেছিলেন গোটা একটা পিয়ানো।
পরবর্তীকালে ডালাসের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্ট-এ কাজ করার সময় আরও দুই সঙ্গীকে নিয়ে আজকের তথাকথিত ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন মেরিম্যান। বাকি দু’জন হলেন নোবেলজয়ী টিম লিডার জ্যাক কিলবি এবং জেমস ভ্যান টাসেল। যদিও তিনি স্বীকার করতেন, ক্যালকুলেটরের মডেলটি তৈরির পিছনে ভূমিকা ছিল গোটা টিমেরই।
ক্যালকুলেটর আবিষ্কারের ইতিহাস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মেরিম্যান জানান, ‘সেটা ছিল ১৯৬৫ সাল। বস কিলবিই প্রথম আমাদের কাছে ক্যালকুলেটরের আইডিয়াটা দিয়েছিলেন। বিষয়টা নিয়ে অবশ্য আমাদের টিম ছাড়া তিনি আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গেই আলোচনা করেছিলেন। কিলবি স্বপ্ন দেখতেন, তৎকালীন প্রচলিত ‘স্লাইড রুল’ পদ্ধতিকে সরিয়ে গণনার জন্য নতুন এক যন্ত্রের। যেটি ব্যবহারের সুবিধার্থে, হাতে থাকা বইয়ের সাইজেরই হয়।’ যেমন ভাবা তেমন কাজ। শুরু হয়ে গেল, কিলবির স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার মহাযজ্ঞে ঝাঁপ দিলেন মেরিম্যান।অবাক হওয়ার মত বিষয় হল, মাত্র তিন দিনের চেষ্টাতেই সার্কিট ডিজাইন তৈরি করে ফেলেছিলেন মেরিম্যান। তাঁর কথায়, ‘প্রথমে আমার মনে হয়েছিল, আমরা বোধ হয় নিছক একটা হিসেব-নিকেশের যন্ত্র তৈরি করছি। কিন্তু পরে বুঝলাম এ যন্ত্রটির হাত ধরেই বিপ্লব ঘটতে চলেছে বৈদ্যুতিন জগতে।’