উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এমএমটিসি-র মাধ্যমে যে বিদেশি পেঁয়াজ আসবে, তা অন্য একটি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নাফেডের মাধ্যমে রাজ্যগুলিকে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে নাফেডের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে দুশো টন করে চার সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ চাওয়া হয়েছিল। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ইজিপ্ট থেকে মুম্বই বন্দরে ৬৯০০ টন পেঁয়াজ পৌঁছবে বলে রাজ্য সরকারের কাছেও খবর এসেছিল। রাজ্য কৃষি বিপণন পর্ষদের এক পদস্থ আধিকারিক শনিবার জানিয়েছেন, নাফেডের মাধ্যমে পেঁয়াজের জোগান এখনও হয়নি। এখন শোনা যাচ্ছে, এই মাসের শেষের দিকে তা আসতে পারে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে নাফেডের ভরসায় না থেকে পাইকারি বাজার থেকে কিনে অনেকটা ভর্তকি দিয়ে ৫৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। কৃষি বিপণন দপ্তরের সুফল বাংলার স্থায় ও অস্থায়ী স্টল তো ছিলই, তার বাইরে কলকাতায় রেশন দোকান ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে সরকারি দামে পেঁয়াজ বিক্রি চলছে। বাজার দর না কমা পর্যন্ত এটা চলবে বলে জানানো হয়েছে। এক দিন অন্তর শুধু কলকাতার বিভিন্ন পাইকারি বাজারে থেকে প্রায় ৮০ টন করে পেঁয়াজ বাজার দরে কিনছে রাজ্য সরকার।
এদিকে মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজের জোগান কিছুটা বাড়ছে। এই প্রবণতা আপাতত থাকবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। পোস্তা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। খুচরো বাজারে এর প্রভাব পড়া উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের আমদানি করা পেঁয়াজ পেলে সরকারের ভর্তুকি খাতে খরচ কিছুটা কমত। কলকাতায় ওই পেঁয়াজ নাফেড ৬০ টাকা কেজি দরের আশপাশে পৌঁছে দিত।
গত কয়েকদিন ধরে পাইকারি বাজারে ৪০ কেজি পেঁয়াজের বস্তার দাম চার হাজার টাকার আশপাশে চলছিল। তা এখন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় চলে এসেছে। পাইকারি বাজারে এক কেজি পেঁয়াজ এখন ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু খুচরো বাজারে দাম এখনও সেঞ্চুরির ওপারে। অধিকাংশ বাজারে বড় ও মাঝারি সাইজের পেঁয়াজের দাম এখন ১২০ টাকার আশপাশে। পাইকারি বাজারে এখন যা দাম তাতে এখন একশো টাকায় খুচরো বাজরে পেঁয়াজ বিক্রি করা যায় বলে ব্যবসায়ী মহলও মনে করছে। আগামী দিনে পাইকারি বাজারে আরও দাম কমার আশা আছে।