নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
কয়েকদিন আগেও ভালো মানের লাল রংয়ের বড় সাইজের ৪০ কেজির পেঁয়াজের বস্তা ১৮০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছিল। অর্থাৎ প্রতি কেজি ওই পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারেই ছিল ৪৫ টাকা। সেখানে বুধবার কলকাতার পাইকারি বাজারে ভালো মানের ওই পেঁয়াজের দাম নেমে এসেছে ১৪০০ টাকার আশপাশে। অর্থাৎ পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এখন আগের তুলনায় ১০ টাকা কমে ৩৫ টাকায় চলে এসেছে। কিন্তু খুচরো বাজারে এদিনও পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ টাকার আশপাশে। কোথাও কোথাও খুচরো বাজারে এর থেকেও বেশি দাম নেওয়া হয়েছে। পাইকারি বাজার কোলে মার্কেটের আধিকারিক ও দ্রব্য মূল্যের নজরদারির জন্য গঠিত সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে ছোট সাইজের পেঁয়াজের দাম ১২০০ টাকায় নেমে এসেছে। আগামী দিনে দাম আরও কমবে, এরকম ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে খুচরো বাজারে এত বেশি দাম নেওয়া ঠিক নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। এখন পাইকারি বাজারে যা দাম, তাতে খুচরো বাজারে বড় জোর ৫০ টাকা দাম হওয়া উচিত। সরকারি সুফল বাংলার স্টলে কিন্তু এদিন ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। সুফল বাংলার স্টলে বিক্রি হওয়া পণ্যর দাম প্রতিদিন কৃষি বিপণন দপ্তর ঠিক করে দেয়। কোনও সরকারি ভর্তুকি অবশ্য দেওয়া হয় না।
গোটা দেশে পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটাই মেটায় মহারাষ্ট্র। বন্যার জন্য সেখানে মজুত পেঁয়াজের ক্ষতি হওয়ার জেরে কিছুদিন ধরে গোটা দেশেই এই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম চড়তে শুরু করে। প্রায় সব রাজ্যে পেঁয়াজের দাম ৭০-৮০ টাকা কেজি-তে পৌঁছে যায়। সামনেই মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট। ঝাড়খণ্ডেও বিধানসভা ভোট সামনে। এই অবস্থায় পেঁয়াজের বর্ধিত দামে মানুষের ক্ষোভ যাতে না বাড়ে, তার জন্য সক্রিয় হয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও দাম বিশেষ কমেনি। তাই বিদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ মজুতের পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়।
ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ মূলত বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ও আরব দেশগুলিতে রপ্তানি হয়। পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের চেক পোস্টগুলি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য লরি পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকত। রবিবারের পর পেঁয়াজের লরি ঢোকা বন্ধ। এর প্রভাবে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম হু হু করে বাড়ছে। ৭০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ সেখানে ১২০ টাকা ছুঁয়েছে। বাংলাদেশ এখন মায়ানমার থেকে জরুরি ভিত্তিতে পেঁয়াজ নিয়ে আসছে।
অক্টোবর মাসের পর মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ ভারতে নতুন পেঁয়াজ মাঠ থেকে উঠে বাজারে আসতে শুরু করবে। তখন দামও কমবে। এখন কিছুদিন মজুত পেঁয়াজ দিয়ে বাজারের চাহিদা মেটাতে হবে। বিদেশে রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় এখন দেশের বাজারে সরবরাহ অনেকটা বাড়বে বলে আশা ব্যবসায়ী মহলের।