কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
প্রশ্ন: কবে মনে হয়েছে, এবার থামা দরকার?
সুনীল: গত একমাস ধরে এই বিষয় নিয়ে অনেক ভেবেছি। মনে হয়েছে, এটাই সঠিক সময়। তাই আর দেরি করিনি। কুয়েত ম্যাচ আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে। আশা করি, জিতে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছতে সক্ষম হব।
প্রশ্ন: বাছাই পর্বে তৃতীয় রাউন্ডে যোগ্যতা অর্জন করতে পারা কি আপনার দীর্ঘ কেরিয়ারের সব থেকে বড় পাওনা হতে চলেছে? একইসঙ্গে ব্যক্তিগত দিক থেকে এই ম্যাচটা কতটা চাপের?
সুনীল: কখনও নিজের কথা ভেবে খেলিনি। দলের সাফল্যকে প্রাধান্য দিয়েছি। আর যা কখনও হয়নি তা করে দেখানোর সুযোগ রয়েছে আমাদের কাছে। তাই ঘরের মাঠে জিতে বিশ্বকাপের তৃতীয় রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।
প্রশ্ন: ১১ জুন কাতার ম্যাচ না বেছে কেন কুয়েতের বিরুদ্ধেই অবসরের কথা ঘোষণা করলেন?
সুনীল: এই সিদ্ধান্ত হৃদয়ের ডাকে। দেশের মাঠে খেলা। তা’ও আবারও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। এর থেকে ভালো মঞ্চ আর কী-ই বা হতে পারে। তবে আমি নিশ্চিত, কাতার ম্যাচেও দল ভালো ফল করবে।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের জার্সিতে দীর্ঘ ১৯ বছরের যাত্রার অভিজ্ঞতা কেমন?
সুনীল: অনবদ্য। এক কথায় বলতে গেলে, স্বপ্নের মতো কেটেছে। জানি না, কোথা থেকে শুরু করব। দেশের জার্সিতে টানা ১৯ বছর খেলা আমার কাছে গর্বের। এই একটা জিনিস কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। এর জন্য আমি প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে অনেকর সহযোগিতা পেয়েছি। প্রত্যেককে আন্তরিক ধন্যবাদ।
প্রশ্ন: এই সিদ্ধান্ত আপনার পরিবারের কাছে কতটা কঠিন?
সুনীল: শুরুতে অবাক হয়েছে। তবে প্রত্যেকেই আমার এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। দীর্ঘ ১৯ বছরে যা অর্জন করেছি, তার জন্য পরিবারের সকলেই গর্বিত। তাছাড়া এই দিনটা এড়ানো সম্ভব নয়। দেশের হয়ে কেউই কখনও খেলা ছাড়তে চায় না। তবে সবাইকেই থামতে হয়।