কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
২০০৫ সাল। কোয়েটায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় সুনীলের। তখন ছটফটে তরুণ। বাইচুং ভুটিয়ার ছায়ায় ঢাকা। তবে ওয়াঘার ওপারে সুযোগ পেয়ে নিজেকে চেনাতে দেরি করেননি তিনি। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় দু’দশকের কেরিয়ারের পড়ন্ত বেলায় ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তির তকমা সুনীলের জাসির্তে। কপালে স্পষ্ট বলিরেখা। তবে চল্লিশ ছুঁইছুঁই অধিনায়কের বিকল্প নেই। শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের ঝলমলে মোড়কে সুনীলের জুড়ি নেই। তাঁর উপলব্ধি, ‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা। টিম ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে গর্বের আর কিছু নেই।’ আসলে দলে সুনীল থাকা মানেই একটা আলাদা স্পার্ক। অদম্য জেদ, চোয়ালচাপা লড়াই। কোচ ইগর স্টিমাচের কথায়, ‘সুনীলের মতো ফুটবলার যে কোনও দলের সম্পদ। ওকে কোচিং করানো সৌভাগ্যের বিষয়।’ উল্লেখ্য, কুয়েত ম্যাচের আগে ভুবনেশ্বরে আবাসিক শিবিরে প্রস্তুতিতে মগ্ন স্টিমাচ ব্রিগেড। সেখানেই সতীর্থরা অবসরের খবর জানতে পারেন। অধিনায়কের সঙ্গে দীর্ঘদিন ড্রেসিং-রুম ভাগ করে নিয়েছেন গুরপ্রীত সিং সান্ধু। ভারতীয় গোলরক্ষকের পোস্ট, ‘ভাবতেই পারছি না সুনীলের সান্নিধ্য পাব না। আশা করি, শেষ ম্যাচেও মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়বে আমাদের অধিনায়ক।’ সেই ম্যাচ জিতে সুনীলকে উৎসর্গ করতে তৈরি গোটা দল। আইএম বিজয়ন, বাইচুং ভুটিয়ার পর জাতীয় দলের অদৃশ্য ব্যাটন ছিল তাঁরই হাতে। কিন্তু এবার কে? বিদায়ের বাজনার মধ্যেই আশঙ্কা ফুটবল মহলে।