অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
করোনার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল বুয়েনস আইরেসের রাষ্ট্রপতি ভবন। মহামারীর জন্য আরোপিত সব বিধিনিষেধ উধাও হয়ে গিয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষটির প্রয়াণে। মারাদোনার মরদেহ রাখার জন্য খুলে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি ভবন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ‘এল পিবো ডো ওরো’র কফিনবন্দি দেহ সেখানে পৌঁছায়। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। তাঁদের পাশে ছিলেন মারাদোনার ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ জয়ী দলের সতীর্থ অস্কার রুগেরিসহ একঝাঁক আর্জেন্তাইন ফুটবলার। এরপর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট। স্বপ্নের নায়ককে শেষবার দেখার আশায় উপচে পড়ে আর্জেন্তিনার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। ভিড় সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় পুলিস-প্রশাসনকে। ডিয়েগোর কাছে পৌঁছানোর জন্য ভক্তরা তখন পাগল। এই সময় জনতার সঙ্গে একপ্রকার খণ্ড যুদ্ধও বেধে যায় পুলিসের। তবে সেই বিক্ষিপ্ত ঘটনা ভুলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের শোকের সাগরে ডুবে যান অনুরাগীরা।
বুধবার রাতেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল মারাদোনার মৃত্যুর খবর। শোকবার্তায় ভেসে যায় সমগ্র ক্রীড়া জগত। পেলে, মেসি, রোনাল্ডো থেকে শুরু করে সব প্রজন্মই তাঁদের হৃদয়বিদারক বার্তা পেশ করেছেন। আটের দশকে ক্লাব ফুটবলে মারাদোনার অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মিশেল প্লাতিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মারাদোনার চেয়ে বড় ফুটবলপ্রেমী আর কেউ রয়েছে বলে আমার মনে হয় না। ও সকল কিশোরের প্রথম ভালোবাসা। যে কোনও বিষয়েই শ্রেষ্ঠত্বের ঔদ্ধত্য ছিল ওর। তবে ডিয়েগোর সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল, মাঠে কখনও হার না মানা মনোভাব।’ আর এক ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান যে, ওঁকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। ছিয়াশি সালে প্রথমবার ডিয়েগোর খেলা দেখার সুযোগ হয়েছিল। তখন আমার বয়স মাত্র ১৪। সেই থেকেই তাঁকে আমি হিরোর আসনে বসিয়ে এসেছি। পরবর্তী সময়ে আমি তাঁকে শুনিয়েও ছিলাম, আমার জীবনে তাঁর অবস্থান কত উঁচুতে। ফুটবল বিশ্বে মারাদোনার শূন্যতা কখনওই পূর্ণ হবে না।’