কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরে ডিপো তৈরির জন্য অনেকদিন আগে থেকেই চিন্তাভাবনা শুরু করে নিগম। তারপর ঠিক হয় কাটোয়া শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাটোয়া-বর্ধমান রোডের পাশেই পুরসভার দেওয়া তিন একর জমিতে ডিপো গড়া হবে। এজন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
কাটোয়া শহরের উপর দিয়ে এসবিএসটিসির মোট পাঁচটি বাস যাতায়াত করে। চাকটা থেকে কলকাতা ভায়া কাটোয়া, আসানসোল থেকে কাটোয়া হয়ে কলকাতা সহ বেশকিছু বাস যাতায়াত করে। কালনা ডিপো থেকেও একটি গাড়ি যাতায়াত করে। তবে কাটোয়ায় ডিপো তৈরি হলে আরও গাড়ি বাড়ানো হবে বলে জানান নিগম কর্তারা। এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষবাবু বলেন, খুব শীঘ্রই ডিপো তৈরির কাজ শুরু হবে। তারজন্য পুরসভাকে জমি হস্তান্তরের জন্য বলা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় রাজ্যজুড়েই সাধারণ মানুষের জন্য সরকারি বাস পরিষেবা ঢেলে সাজা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ালেও এখনও ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
এসবিএসটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১০জানুয়ারি বাঁকুড়া থেকে শিলিগুড়ি এসি বাস পরিষেবা চালু করা হবে। রাজ্যে ১০৬টি ডিজেল বাস নামানো হবে। পাশাপাশি সিএনজি চালিত ৯০টি বাসও রাস্তায় নামানো হবে। এজন্য আসানসোল, দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর, আরামবাগে সিএনজি স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। সুভাষবাবু বলেন, জঙ্গলমহলের মানুষ যাতে সরকারি বাস পরিষেবা পান তারজন্য ঝাড়গ্রামে ডিভিশন তৈরি করা হয়েছে। তার অধীনে ৮টি ডিপো রয়েছে। এছাড়াও পুরুলিয়ার মানবাজার, বান্দোয়ান, ক্ষীরপাই এসব এলাকায় ডিপো তৈরি করা হয়েছে।
কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এর আগেও কাটোয়ায় ডিপো তৈরি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা বেশিদূর এগয়নি। এবার তা বাস্তবায়িত হবে। এটা হলে কাটোয়ায় বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসবিএসটিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রণবকুমার ঘোষ, ট্রাফিক অপারেশনের ওএসডি পার্বতী চরণ ঘোষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন।