কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তাটি ব্যবহার করেন। প্রতাপপুর, কুলডিহা, রানিগঞ্জের মানুষজন এই রাস্তা দিয়ে অভিরামপুর যান। অভিযোগ, রাস্তার বেহাল দশার জন্য অভিরামপুর থেকে যাত্রীবাহী টোটো বা মোটরভ্যান প্রতাপপুরে আসতে চায় না। পড়ুয়ারা এই রাস্তা দিয়েই জামতাড়া এবং অভিরামপুরে স্কুলে যায়। যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সুয়াতার এক ব্যবসায়ী বলেন, রাস্তাটি অনেকদিন ধরেই খারাপ। এই রাস্তা দিয়েই ভাল্কী মাচান যাওয়া যায়। রাস্তা বেহালের জন্য এবার পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম। ফলে আমাদের ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, অভিরামপুর থেকে প্রতাপপুরের রাস্তায় কোনও বাস চলে না। তাই এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা সাইকেল, বাইক বা টোটো। কিন্তু রাস্তা বেহাল হওয়ার জন্য টোটো এই রাস্তায় যেতে চাইছে না। অনেক সময় রাস্তা বেহাল বলে অতিরিক্ত ভাড়ার দাবিও করা হচ্ছে। ভাল্কি মাচানে পিকনিক করতে এসেছিল গুসকরা সংলগ্ন এলাকার কয়েকটি পরিবার। পরিবারের সদস্যা রনিতা রায় বলেন, আমরা টোটোয় করে এসেছিলাম। কিন্তু রাস্তা খুবই খারাপ। টোটোচালকও ভয় পাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার ছোট ব্যবসায়ীরা দোকানের জিনিসপত্র মোটরভ্যানে করে নিয়ে আসেন। কিন্তু রাস্তায় খানাখন্দ হওয়ায় মোটরভ্যান চালকরা আসতে চাইছেন না। ফলে ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাছাড়া বৃষ্টি হলে এই রাস্তায় পথ চলতে সমস্যা হয়। গর্তে জল জমে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপপুর গ্রামে একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। সেখানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। একাদশ ও দ্বাদশে পড়ার জন্য এলাকার পড়ুয়ারা ব্লকের জামতাড়া বা অভিরামপুরে উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু রাস্তা বেহাল হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জামতাড়া স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, সে নিয়মিত ওই রাস্তায় স্কুলে আসে। পিচ উঠে যাওয়ায় গাড়ি গেলেই ব্যাপক ধুলো ওড়ে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের প্রয়োজন। ভাল্কি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাদেরুল শেখ বলেন, ওই রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে কাজ শুরু হবে।