কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বোলপুর-নতুনহাট রোড ধরে আতকুলা গ্রাম থেকে বিয়ের চারচাকা গাড়িটি বরকে নিয়ে আসছিল। গাড়িতে বর সহ আটজন ছিলেন। নানুরের বাসাপাড়া এলাকায় গাড়িটি বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাইককে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে যায়। বর সহ সবাই জখম হন। তড়িঘড়ি প্রত্যেককেই উদ্ধার করে মঙ্গলকোট গ্রামীণ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই বরের ভাগ্নি বছর আটের আফরিন সুলতানাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার বাড়ি ইলামবাজারে। বাকিদের জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়। বিকেল ৫টা নাগাদ বর শেখ মনিরুল অন্য গাড়ি নিয়ে কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙা গ্রামে এসে বিয়ে সারেন। খাওয়াদাওয়া না করেই বর-বউ সহ সকলে রাতেই গ্রামে ফিরে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় রাজমিস্ত্রি নানুরের বাসাপাড়া পঞ্চায়েতের আতকুলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ মনিরুলের সঙ্গে কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙার মৌসুমির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ে উপলক্ষ্যে মামাবাড়ি এসেছিল আফরিন। মনিরুলের জামাইবাবু আসাদুলই এই বিয়ে ঠিক করেছিলেন। পেশায় খড় ব্যবসায়ী আসাদুলের আত্মীয় মৌসুমির বাবা নজু মল্লিক। বিয়ে উপলক্ষে বর আসার জন্য স্করপিও গাড়িটি ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। বর ছাড়াও সেই গাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও আফরিন ছিল।
এদিব মনিরুল বলেন, আমার বিয়েতে যে এত বড় অঘটন ঘটবে তা বুঝতে পারিনি। বিয়ের অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে গিয়েছে। আমার ভাইয়ের স্ত্রী সহ আত্মীয়স্বজনরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রয়েছে। সেকারণে কোনওরকমে বিয়েটুকু হয়েছে। বাকি আনন্দ অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। নববধূ মৌসুমি মল্লিক বলেন, দুর্ঘটনার পর কাল চরম উৎকন্ঠায় কাটিয়েছি। বিয়েবাড়িজুড়ে শোকের আবহ।