কর্ম নিয়ে স্থানান্তর গমনে সাফল্যের যোগ। কর্মে স্থানগত বা সংস্থাগত পরিবর্তন অসম্ভব নয়। পারিবারিক ক্ষেত্রে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুঠিরডাঙা এলাকায় ওই ইকোপার্কটি গড়ে ওঠে। সরকারি একাধিক তহবিলে ২০২০ সালে পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। প্রায় ৫০ লক্ষের অধিক অর্থ ব্যয় হয়। দামোদর নদের পাশে শ্মশানঘাট লাগোয়া পার্কটি তৈরি হয়। গ্রামের প্রধান রাস্তা থেকে পার্কে যাওয়ার প্রবেশদ্বারে কংক্রিটের বিশাল তোরণ নির্মাণ করা হয়। ওই তোরণ থেকে কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করা হয় পার্ক পর্যন্ত। পার্কের ভিতরে একটি স্লিপার ও একাধিক কংক্রিটের বসার জায়গা সহ রাস্তা তৈরি হয়। সৌন্দর্যায়নের জন্য নানা কাজ করা হয়েছিল। পার্কটি চালু হতেই কয়েক বছরের মধ্যে বেহাল দশায় পরিণত হয়। ঝোপ-জঙ্গলে ভরে ওঠে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিট্টু মিত্র বলেন, এই এলাকায় পার্ক বলে কিছু ছিল না। পার্ক হওয়ায় এলাকাবাসী খুব খুশি ছিল। বহু মানুষজন দামোদর নদের পাশে ওই মনোরম প্রকৃতিতে পার্কে আসতেন। বিপুল অর্থ ব্যয় করে পার্ক হলেও দেখভালের অভাবে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়। আমাদের দাবি, ছোটদের খেলার সরঞ্জাম বাড়াতে হবে। প্রশাসন একটু নজর দিলেই পার্কটি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। স্থানীয় বাসিন্দা বিকাশ মিত্র বলেন, পার্কটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। নদের জল উপচে বন্যায় ডুবে গিয়ে পার্কটি আরও বেশি বেহাল হল। ফের পার্কটি সৌন্দর্যায়ন করলে উপকৃত হবে মানুষ। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জগৎপতি বাউরি বলেন, ১০০ দিনের কাজে পরিচর্চার কাজ হতো। এখন ১০০ দিনের শ্রমিক নেই। যার ফলে আরও বেশি বেহাল হয়েছে। আমরা ব্লকে জানিয়েছি। অণ্ডালের বিডিও দেবাঞ্জন দত্ত বলেন, পার্কটি কীভাবে আগের অবস্থায় ফিরে আসে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।