গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
জানা যায়, ভোটের ঠিক আগে জেলা পরিষদ শুধু রাস্তা তৈরি বাবদই প্রায় ৩৫ কোটি টাকার টেন্ডার খুলেছিল। এর মধ্যে ছিল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। যেগুলি অনেকদিন থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে আবেদন জমা পড়েছিল। তার ভিত্তিতে টেন্ডার করে রাস্তা তৈরির কাজ দেওয়া হয় বিভিন্ন ঠিকাদার সংস্থাকে। এর মাঝে ভোটের কারণে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়। জেলা পরিষদের পদাধিকারীরা রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত থাকায় কাজ কতদূর হচ্ছে, তা নজর দিতে পারেননি। ফলে বিভিন্ন জটিলতা ও ভোটের দোহাই দিয়ে অনেক জায়গাতেই রাস্তা তৈরির কাজে নামেননি ঠিকাদাররা। এবার আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ার পর পর্যালোচনায় বসেছে জেলা পরিষদ। সেখানে উঠে আসে, বেশ কিছু রাস্তা কোথাও অর্ধেক হয়ে পড়ে রয়েছে কোথাও আবার শুরুই হয়নি। এতে কিছুটা চটেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখও। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের নিয়ে প্রশাসনিকভাবে একটি বৈঠক হয়। সেখানে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম ও অন্যান্য পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। আর সেই আলোচনা থেকেই জেলা পরিষদ তার কড়া অবস্থানের কথা স্পষ্ট করে দেয়। সভাধিপতি কাজল বলেন, কোথায় কাজ আটকে রয়েছে, তা আমরা চিহ্নিত করে নিয়েছি। যখন কাজ দেওয়া হয়েছিল, তাতে এতদিনে বেশিরভাগ রাস্তার কাজই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু ঢিলেমি হয়েছি। কাজ যে আটকে রয়েছে, এতদিন তা জানতেই পারিনি। সেই কারণে সকলকে নিয়ে বসে পরিষ্কার নির্দেশ দিলাম, কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। যদি রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে কোথাও কোনও বাধা আসে, তাহলে আমাদের লিখিত আকারে দিন। ডকেট আকারে ড্রপবক্সে জমা করুন। সমস্যাগুলো জানান। এরপর আমরা জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বসব। কিন্তু কোনওভাবেই এই কাজ ফেলে রাখা যাবে না। কেননা এই কাজ শেষ হলেই আরও নতুন করে টেন্ডার শুরু হবে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, অনেকেই অভিযোগ করেন, কাজের শিডিউল জানতে পারছেন না। তাই বলা হয়েছে, শিডিউল দিয়ে দেওয়ার কথা। প্রয়োজনে চায়ের দোকানে শিডিউল টাঙিয়ে দিতে হবে। তবে প্রত্যেকে দ্রুত কাজ শেষ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আর যদি কাজ দ্রুত শেষ না করে, তাহলে পরের বার থেকে কাজ পাওয়াও মুশকিল হয়ে যাবে।
ফলে জেলা পরিষদের এই অবস্থান যে দ্রুত কাজ শেষ করার মনোভাবই ইঙ্গিত দিচ্ছে তা স্পষ্ট হল।