কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, বহরমপুর শহর ও সংলগ্ন এলাকায় একের পর এক টোটো চুরির ঘটনা ঘটছিল। গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি। মুর্শিদাবাদের সন্ন্যাসীডাঙা থেকে প্রকাশ মাহালি ও দিবাকর মণ্ডল নামের দু’জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকরা টোটো চুরি ও চোরাই টোটো বিক্রির কাজে সাহায্য করত। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুরের কারবালা রোড, কাশিমবাজার, চুনাখালি নিমতলা এলাকা থেকে পরপর বেশ কয়েকটি টোটো চুরির ঘটনা ঘটে। প্রতিটি জায়গাতেই তিনজন করে যুবক বাইকে চেপে এই অপারেশন চালায়। চাবি খোলা অবস্থায় টোটো থাকলেই সেগুলি আগে টার্গেট করত তারা। অনেক সময় রাস্তার ধারে চার্জে থাকা অরস্থায় সুযোগ বুঝে টোটো নিয়ে চম্পট দিত। দুষ্কৃতীদের একজন টোটোতে উঠে সেটি স্টার্ট দিলেই অপরজন লাফ দিয়ে তাতে উঠে পড়ত। তারপর গতিতে টোটো ছোটাত তারা। বাইক নিয়ে এক যুবক টোটোর সামনে গিয়ে পথ নির্দেশ দিত। বাইক নিয়ে পথ নির্দেশের কাজ করত দিবাকর। অপরদিকে প্রকাশের কাজ ছিল টোটো বিক্রির কাজে সাহায্য করা। যে এলাকার টোটো সেই এলাকা থেকে ৩০-৩৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে টোটোর গ্যারেজে বা কোনও ব্যবসায়ীকে গিয়ে প্রকাশ বাড়ির দুরবস্থার গল্প শোনাত। অনেকেই তার গল্প শুনে বিশ্বাস করে লক্ষাধিক টাকার টোটো ২৫-৩০ হাজার টাকায় কিনে নিত। অনেক সময় টোটো বিক্রির কিছুটা টাকা বাকি রেখে দিয়ে টোটোর আসল কাগজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিত। এতে আরও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠত তারা। বেশ কয়েকটি চোরাই টোটো এভাবে বিক্রি করেছে তারা। পুলিস তিনটি টোটো উদ্ধার করে এই গল্পের কথা জানতে পেরেছে।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস আরও জেনেছে, এভাবে গল্প ফাঁদার পরেও কিছু টোটো বিক্রি হয় না। তখন টোটোর বিভিন্ন পার্টস আলাদা আলাদা করে খুলে ফেলত। তারপর সেগুলি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত সে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কোথায় কোথায় কত পরিমাণ যন্ত্রাংশ বিক্রি করা হয়েছে সেব্যাপারে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে বহরমপুর থানার পুলিস।