কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
ভোটের মরশুম মিটতেই বাজার ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জালনোটের কারবারিরা। রবিবার মালদহের কালিয়াচকের মানিক শেখ এবং ইনজামামুল হক জালনোট পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। এসটিএফ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে ৯৮ হাজার ৫০০ টাকার জালনোট উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া নোটগুলি সবই পাঁচশো টাকার। সঠিক সময়ে দুই পাচারকারীকে ধরতে না পারলে মালদহ থেকে ফরাক্কা হয়ে মুর্শিদাবাদে ছড়িয়ে পড়ত এই নোট। বড় বড় বাজারে মোটা টাকার লেনদেনে আসল নোটের মাঝে সুকৌশলে জাল টাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে দুষ্কৃতীরা। যে কারণে সমস্যায় পড়েন ব্যবসায়ীরা। এই পাঁচশো টাকার নোটগুলি অবিকল আসল নোটের মতোই দেখতে। হাতে নিয়েও বোঝা যায় না। এটি আসল না নকল। এদিন উদ্ধার হওয়া জালনোটগুলির গুণগত মানও বেশ ভালো বলে পুলিস জানিয়েছে।
বেঙ্গল এসটিএফের এক আধিকারিক বলেন, নোটগুলি খুবই ভালো মানের। সাধারণত বাজারে মোটা বান্ডিলের মধ্যে এই নোটগুলি চালান করে দেওয়া হয়। মালদহ হয়ে মুর্শিদাবাদে আগেও অনেক জালনোট ঢুকেছে। এক্ষেত্রে পাচারকারীদের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
এর আগেও বারবার জালনোট কারবারিদের নজর পড়েছিল মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুরের উপর। বহরমপুরের খাগড়া বাজারের পাইকারি মার্কেট ও সোনাপট্টিতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়। সেই মোটা লেনদেনের মধ্যে বারবার অল্প পরিমাণে জালনোট ছড়িয়ে দিতে পারলেই, পাচারকারীদের কেল্লা ফতে। তাই নির্বাচনের আগে থেকে বহরমপুরের উপর বাড়তি নজর দিয়েছিল পুলিস। লাগাতার কয়েকদিন ধরে বহরমপুর থানার পুলিস শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে লক্ষাধিক টাকার জালনোট সহ ছয় কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। যুবকদের পাশাপাশি কয়েক লক্ষ টাকার জালনোট পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েছে যুবতীও। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, বহরমপুর শহর ও শহর লাগোয়া বিভিন্ন বাজারে এই নোট পাচারের উদ্দেশ্য ছিল তাদের। এবারও ভোট মিটতেই বিভিন্ন বাজারে নজরদারি বাড়িয়েছে প্রশাসন।
পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভোট মিটে গিয়েছে। রাস্তায় নাকা তল্লাশি আগের থেকে কমেছে। এই সুযোগে জেলার বড় বাজারে যাতে জালনোট ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে পুলিসের নজর রয়েছে। এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন কুখ্যাত পাচারকারী ও ক্যারিয়ার এখন জেলে আছে। ফলে নতুন করে কেউ পাচারের কাজে নামছে কি না, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।