কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা এলাকা মূলত বার্নপুর শহর ও রানিগঞ্জ গ্রামীণ এলাকা নিয়ে গঠিত। বার্নপুরের শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা সেইলের অধিনে থাকা ইস্কো কারখানার জমির উপর দাঁড়িয়ে। সেই ইস্পাত শহরেই এখন উচ্ছেদ নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দানা বাঁধছে। এতদিন ইস্কো বিভিন্ন আবাসন বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে দিচ্ছে। সেখানে পরিবার থাকলেও পরোয়া করা হচ্ছে না। বহু গরিব মানুষের মাথার ছাদ চলে গেলেও পুনর্বাসনের ভাবনা চিন্তা করেনি কেন্দ্রের মোদি সরকার। দিনের পর দিন উচ্ছেদ অভিযান চলছে। অথচ, ছাদ হারানো অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াননি অগ্নিমিত্রা। অথচ, এই শহর থেকেই বার বার বড় লিড নিয়েছে বিজেপি। জিতে যাওয়ার পর বিজেপির নেতা-নেত্র্রীরা কার্যত অধরা। তাঁরাই আবার খড়্গপুরে গিয়ে রেলের উচ্ছেদ নিয়ে সরব হয়েছেন। স্বভাবতই অগ্নিমিত্রা এখন দ্বিচারিতার অভিযোগে বিদ্ধ।
এতদিন ঘর ভাঙাতেই বুলডোজার চালিয়েছিল ইস্কো। এবার এলাকাবাসীর মাঠ দখলেও নেমেছে তারা। আসানসোল পুরসভার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডে বার্নপুরের নাকরাসোতায় একটি বড় ফুটবল মাঠ রয়েছে। সারা বছরই মাঠে খেলাধুলো করে স্থানীয় ছেলে মেয়েরা। পাশাপাশি বিভিন্ন পুজোর প্যাণ্ডেলও হয়। অভিযোগ, সোমবার মধ্যরাতে সবার অগোচরে সেই মাঠেই লরি লরি ব্লাস্ট ফার্নেসের ছাই ঢেলে দেয় ইস্কো কর্তৃপক্ষ। প্রায় শতাধিক বছরের পুরনো মাঠের দফারফা হয়। নীরব বিজেপি। তবে, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা মঙ্গলবার তীব্র বিক্ষোভ দেখান। ওই এলাকারই বাসিন্দা তৃণমূল ব্লক সভাপতি অনুপকুমার মাজি বলেন, ‘এখানকার বিধায়ক খড়গপুরে গিয়ে বলছেন, পুনর্বাসন ছাড়া তিনি উচ্ছেদের বিরোধী। অথচ নিজের বিধানসভা এলাকার মানুষজন উচ্ছেদের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এখন খেলার মাঠকেও বাদ দিচ্ছে না ইস্কো। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। প্রয়োজন শহরজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের মানুষকেও বলব, বিজেপির ভাঁওতায় বিশ্বাস করবেন না।’
এই বিধানসভা এলাকাতেই বাড়ি অগ্নিমিত্রা পলের। নিজেকে ঘরের মেয়ে প্রচার করেই ভোটে ফায়দা তুলেছিলেন তিনি। যদিও মেদিনীপুরে প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তাঁর বাবা, মা সহ সবাই এখন মেদিনীপুরে থাকছেন। এই এলাকাতেই বাড়ি বিজেপি জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের। তিনিও এনিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি। বিজেপি জেলা সহসভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘বিষয়টি তাঁদের নজরে নেই। খোঁজ নিয়ে জানাব।’ ইস্কোর জনসংযোগ আধিকারিক ভাস্কর কুমার বলেন, ‘মাঠের জায়গাটি আমাদের বলেই জানা রয়েছে। তাই ছাই ফেলা হয়েছে। বাসিন্দারা আন্দোলন করেছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’